একজন সফল ব্যবসায়ীর শিল্পকারখানা পরিচালনার জন্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব রয়েছে। তেমনি ইন্স্যুরেন্সও ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায়ীদের জীবন ও সম্পদের অনিশ্চিত ঝুঁকির হাত থেকে আর্থিকভাবে রক্ষা করাই ইন্স্যুরেন্সের কাজ। ব্যবসা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে কোনো ব্যক্তিই ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহণ করতে পারে। শুধু ব্যবসার জন্যই নয়, সামাজিক নিরাপত্তার জন্যও ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহণ করা হয়।
ইন্স্যুরেন্স পলিসিতে দুই পক্ষ দেখা যায়। একজন বিমাকারী, অন্যজন বিমা গ্রহণকারী। উভয় পক্ষকে একমত হতে হয় যে, এই পলিসিতে কোনো সংঘটিত ক্ষতি বিমাকারী পূরণ করবে, যার বিপরীতে ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহীতা নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম গ্রহণ করবে। ইন্স্যুরেন্স পলিসির প্রিমিয়াম নির্দিষ্ট সময় অন্তর কিস্তিতে পরিশোধ করা যেতে পারে।
প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, উৎপাদিত পণ্য আমদানি বা রফতানির সময় নৌ-বিমা পলিসিও গ্রহণ করতে পারবে ব্যবসায়ীরা। ব্যাংকঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সহ-জামানত হিসেবে যদি কোনো সম্পত্তি বন্ধক রাখা হয়, সেক্ষেত্রে ওই সম্পত্তির জন্য ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহণ করা অতীব জরুরি। এ কারণে একজন উদ্যোক্তার ইন্স্যুরেন্স পলিসি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা উচিত।
বাংলাদেশে নিবন্ধিত
সরকারি-বেসরকারিসহ বেশ কয়েকটি নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি রয়েছে। ইন্স্যুরেন্স পলিসি পরিচালনার জন্য উদ্যোক্তা বা পলিসি গ্রহণকারী পছন্দসই যে কোনো কোম্পানির দ্বারস্থ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রতিনিধিরা স্বপ্রণোদিতভাবেই বিমা গ্রহণকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকে।
তথ্যসূত্র: এসএমই ফাউন্ডেশন