Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 4:40 am

ব্যবসা ও প্রযুক্তি খাতে ক্ষতির ঝুঁকি ১.৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার

শেয়ার বিজ ডেস্ক: সাইবার নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যবসা ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত এক দশমিক ৭৫ ট্রিলিয়ন (এক লাখ ৭৫ হাজার কোটি) ডলারের ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে। যা এ অঞ্চলের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২৪ দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ডলারের সাত শতাংশেরও বেশি। মাইক্রোসফটের তত্ত্বাবধানে ফ্রস্ট ও সুলিভানের ‘এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে সাইবার নিরাপত্তা হুমকির সম্যক ধারণা: ডিজিটাল বিশ্বে আধুনিক এন্টারপ্রাইজগুলোর সুরক্ষা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বৃহৎ মানের একটি প্রতিষ্ঠান ৩০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। যা একটি মাঝারি মানের প্রতিষ্ঠানের গড় অর্থনৈতিক ক্ষতির তিনশ গুন। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তাজনিত হামলায় গত বছর দশটির মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠানে (৬৭ শতাংশ) চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। ফলে নিজেদের সাইবার নিরাপত্তা কৌশল জোরদারে প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছে।
ব্যবসা ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এ অঞ্চলের সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে সচেতন করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তা কৌশল বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো চিহ্নিত করার লক্ষ্যে এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। ব্যবসা ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে মাঝারি ও বৃহৎ মানের প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থার ১৩০০ কর্মীকে নিয়ে এ জরিপ করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী জরিপ করা অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে কিংবা তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয় অথবা তথ্য নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
এ নিয়ে মাইক্রোসফট এশিয়ার এন্টারপ্রাইজ সাইবার সিকিউরিটি গ্রুপের পরিচালক এরিক লাম বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যতের ডিজিটাল অর্থনীতির সুযোগ গ্রহণে সম্ভাবনা ও ক্ষমতা হ্রাস করছে। জরিপে প্রতি ছয়জন উত্তরদাতার মধ্যে একজন জানিয়েছেন, সাইবার ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ডিজিটাল রূপান্তর স্থগিত করেছে।
এ ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে ডিজিটাল রূপান্তরে সহায়ক হিসেবে সাইবার নিরাপত্তাকে বিবেচনা, নিরাপত্তা জোরদারে ধারাবাহিক বিনিয়োগ, ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা প্রভৃতির কথা বলা হয়েছে।