নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে নতুন ও পুরোনো উভয় ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বরকে (বিন) আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বৈধতা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আমদানি করা পণ্য খালাস করা ও নতুন ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে উভয় বিন নম্বর গ্রহণ করতে ব্যাংক ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে গতকাল ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প থেকে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক, সব বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটকে (সিপিটিইউ) বিষয়টি অনুসরণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিন নম্বরধারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঠিকতা যাচাইয়ে (িি.িহনৎ.মড়া.নফ) লগইন করে বিস্তারিত জানতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। এখানে স্ট্যাটাস অপশন ও নয় অঙ্কবিশিষ্ট বিন সার্টিফিকেটের কিউআর স্ক্যান কোড ব্যবহার করে পুরোনো এবং নতুন বিন নম্বরের পরীক্ষা করা যাবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, নতুন ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইনের অধীনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ব্যবস্থা অটোমেশন প্রক্রিয়ায় আনার অংশ হিসেবে গত ১৫ মার্চ ১১ অঙ্কের পরিবর্তে নয় অঙ্কের অনলাইন বিন নম্বর প্রবর্তন করে এনবিআর। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন আইন কার্যকর হওয়ার কথা। ওই সময়ের পর আমদানি-রফতানি, সরকারি দরপত্রে অংশগ্রহণ, ব্যাংকঋণের আবেদনসহ অন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রমে পুরোনো বিন নম্বর ব্যবহার করা যাবে না।
পুরোনো পদ্ধতিতে ছয় লাখের ওপরে বিন নম্বর রয়েছে। তবে এর মধ্যে নিয়মিত ভ্যাট দেওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৬ হাজারের মতো। ১৫ মার্চের পর থেকে এ পর্যন্ত নতুন পদ্ধতিতে দুই হাজার ৪৪৭টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিন নম্বর গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে এক হাজার ৯১৭টি বিন নম্বরই নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের। এনবিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন আইনে নিবন্ধিত হলেও যেসব প্রতিষ্ঠানের ১১ অঙ্গের বিন নম্বর ছিল, কেবল তারাই ব্যবসা ক্ষেত্রে সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। এক্ষেত্রে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে নতুন ব্যবসায়ীদের। এ জটিলতা নিরসনে গতকাল নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন-পুরোনো উভয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিন গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ জানায় এনবিআর।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তারা জানান, আগের নির্দেশনায় আমদানি, রফতানি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব খোলাসহ অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ১১ অঙ্কের বিন নম্বর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছিল এনবিআর। ওই নির্দেশনা আদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা এবং শুল্ক কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। কারণ আগমী ১ জুলাইয়ের পর থেকে ১১ অঙ্কের বিন নম্বরের আর কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। এ বিভ্রান্তি দূর করার জন্যই উভয় বিন নম্বর গ্রহণ করতে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যারা পুরোনো বিন নম্বর নিয়ে ব্যবসা করছেন তাদের ব্যবসা চালিয়ে নিতে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নতুন বিন নম্বর গ্রহণ করতে হবে। আর নতুন ব্যবসায়ীরা নতুন বিন নম্বর দিয়েই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
Add Comment