নিজস্ব প্রতিবেদক: বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, ভারতের একটি বড় টেক্সটাইল খাত রয়েছে এবং এ খাতটির ম্যান-মেইড ফাইবার ও মিশ্রিত টেক্সটাইল পণ্য সরবরাহ করার যথেষ্ট সামর্থ্য আছে। আবার দেশটি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির জন্য একটি সম্ভানাময় বাজার। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্প বিকাশের সুযোগ তৈরি হয়েছে।’ গতকাল ঢাকায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে দ্য সিনথেটিক অ্যান্ড রেয়ন টেক্সটাইলস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (এসআরটিইপিসি) চেয়ারম্যান ধীরাজ রাইচাঁদ শাহের সঙ্গে বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি এসব কথা বলেন।
ফারুক হাসান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম (সিনথেটিক) উপাদান দিয়ে তৈরি পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ম্যান-মেইড ফাইবার (এমএমএফ) ভিত্তিক পোশাকের রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাইছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত বিশ্ববাজারের প্রবণতা ও চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, বিশেষ করে নন-কটন এবং উচ্চ মূল্য সংযোজিত পণ্যের ওপর জোরালোভাবে গুরুত্ব প্রদান করছে।
বৈঠকে বিজিএমইএ’র সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্রেড ফেয়ারের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ক্যাশ ইনসেনটিভের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সেলিম এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন শিডিউল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইসরাফিল আতিকও উপস্থিত ছিলেন। ফারুক হাসান বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারক এবং ভারতীয় টেক্সটাইল পণ্য সরবরাহকারীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে ব্যবসায়িক যোগাযোগ আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘এতে করে উভয় পক্ষই লাভবান হবে।’ তিনি জানান, এসআরটিইপিসি চেয়ারম্যান ধীরাজ রাইচাঁদ শাহ বিজিএমইএ’কে সোর্স ইন্ডিয়া মুম্বাই একজিবিশনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান, যা আগামী ২৮-৩০ নভেম্বর মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রদর্শনীতে ফাইবার, ইয়ার্ন, পুরুষ ও নারীদের পোশাকের জন্য ফেব্রিক্স, হোম টেক্সটাইল, টেকনিক্যাল টেক্সটাইলসহ ভারতীয় টেক্সটাইল খাতের বিভিন্ন ক্যাটেগরির সর্বশেষ সংযোজন উপস্থাপিত হবে। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা ও সক্ষমতা তুলে ধরতে বিজিএমইএ’র উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইকে’ অংশগ্রহণের জন্য এসআরটিইপিসি চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানান।