ব্যবসা পরিচালনায় ভূমির গুরুত্ব রয়েছে। একক মালিকানাই হোক আর যৌথ মালিকানা; যেকোন ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য শিল্প-কারখানা নির্মাণ জরুরি। এ জন্য প্রয়োজন ভূমি বা জমি। তাই বলে কোনো নিয়ম অনুসরণ না করেই যেন-তেনভাবে একটা ভূমিকে কাজে লাগিয়ে শিল্প নির্মাণ করা যায় না।
পণ্য বা শিল্পের ওপর ভিত্তি করে সুবিধা অনুযায়ী ভূমি নির্ধারণ করতে হবে। ভূমি নির্ধারণের পর নিয়ম-কানুন মেনে কিনতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে হবে
# ভূমি বাছাইয়ের পর কোম্পানির মালিকের নামে কিনতে হবে। যৌথ মালিকানা হলে প্রতিষ্ঠানের নামে কেনা উচিত
# দলিল সংগ্রহ করতে হবে। যার কাছ থেকে ভূমি কিনবেন, তার কাছ থেকে মূল দলিলটা অবশ্যই সংগ্রহ করে রাখতে হবে
# কেনার পর ভূমি অধিদফতর থেকে মিউটেশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। এটি ভূমি ক্রয় সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। ভূমি অফিসের রেজিস্টারে ক্রেতার নাম উঠানো জরুরি
# খাজনার রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। অর্থাৎ যার নামে দলিল হয়েছে তার নাম দিয়ে ক্রয়কৃত ভূমির খাজনার রসিদটি সংগ্রহ করে রাখতে হবে। খাজনা দেওয়ার সময় খাজনার খাতায় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনার নাম অন্তর্ভুক্ত আছে কি না
# ভূমির সিএস, এসএ ও এসআর পরচা গুরুত্বপূর্ণ কাগজ। কেনার পরে অবশ্যই উল্লেখিত পরচাসমূহ সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাংকের কাগজ দেওয়ার জন্য এ পরচা লাগবে
# রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ‘নন ইনকামব্রেন্স সার্টিফিকেট’ সংগ্রহ করতে হবে। কারণ, এ জমিটি আপনি কারও কাছে বিক্রি করেননি। কোথাও বন্ধক রাখেননি। এসব বিষয় পরিষ্কার রাখবে সার্টিফিকেটটি। এ সার্টিফিকেট ছাড়া ব্যাংকে কোনো কাগজ জমা দেওয়া সম্ভব নয়।
তথ্যসূত্র: এসএমই ফাউন্ডেশন