নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসা সম্প্র্রসারণে নতুন করে ৪৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কয়ার গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি ও স্কয়ার টেক্সটাইল পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটির পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিএমআরই, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও জমি বাবদ ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ। অন্যদিকে বিএমআরই প্রকল্পে ৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে স্কয়ার টেক্সটাইল পিএলসি।
এদিকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। আলোচিত এ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ টাকা ৪১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২৯ টাকা ৯৫ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৬৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডা অনুমোদনের জন্য এ বছরের ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ নভেম্বর। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত এ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ টাকা ৫১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১৪ টাকা ৫২ পয়সা।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল। আলোচিত এ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৮১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৯৩ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৭৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডা অনুমোদনের জন্য এ বছরের ১৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ নভেম্বর। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত এ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৯৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৬২ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১৬ টাকা ২৫ পয়সা। উল্লেখ্য, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯ হাজার ২৫৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ১০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
