নিজস্ব প্রতিবেদক:ভবিষ্যতে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল মৌজায় ৫০ বিঘার ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লট কেনার সিদ্ধান্ত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এজন্য বিক্রেতার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ভবিষৎতে ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা চিন্তা করে এ জমি ক্রয় করছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ। এ জমি ক্রয় করতে প্রায় ৯৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে প্রতিষ্ঠানটির। তবে জমি সংক্রান্ত সব ধরনের আইনি ডকুমেন্টস ও কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলেই এই জমি ক্রয়ে অগ্রসর হবে প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৩৬ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৫৫ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ২৮ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৫৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৬৯ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ২৪ পয়সা।
‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৫৬০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৩১ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ২৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের ৭১ দশমিক ৫২ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালক, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৯১ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৭০ হাজার ৩০৪টি শেয়ার মোট ২২০ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৬৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৯৫ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৪৩ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৪৬ পয়সা, আগের বছর ছিল ৪ টাকা ৮১ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ৬৫ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৩ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ৪০ টাকা ৫৬ পয়সা। আর চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ২১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৮৪ পয়সা।