নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বিএম এনার্জি (বিডি) লিমিটেড, নাসিরাবাদ, চট্টগ্রামের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এলপিজি বিক্রির জন্য এলপিজি (অটোগ্যাস) রিফুয়েলিং বা জ্বালানি তেল ভরার স্টেশন তৈরি করবে কোম্পানিটি। এছাড়া তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস রূপান্তর কর্মশালার সঙ্গে নিবন্ধিত ফিলিং স্টেশনের মাধ্যমে রিফুয়েলিং অয়েল বিক্রির চুক্তি হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিএম এনার্জি (বিডি) লিমিটেড নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে কোম্পানিটি এলপি গ্যাস আমদানি করে তা সংরক্ষণ, বোতলজাতকরণ ও বিপণন করে থাকে। আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য এ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করল। চুক্তি অনুসারে কোম্পানিটি এলপিজি বিক্রির মাধ্যমে প্রতি লিটারে ৫০ পয়সা রয়্যালটি পাবে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৩৫ শতাংশ বা দুই টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯৪ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৯৪ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৮ হাজার ৯৮৫টি শেয়ার ১৪৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৯২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৯৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৭৮ টাকা থেকে ২৪৪ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩৩ টাকা ৩০ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১১৩ টাকা ২০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৩৬০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর আগে কোম্পানিটি ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাবছরের ১১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে ২০ টাকা ২৮ পয়সা ও এনএভি দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৩৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকা।
৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৮ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ১১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ৮২ লাখ ১৬ হাজার ১০৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৫৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩২ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত পাঁচ দশমিক ৮৩ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ছয় দশমিক ৭৬।
এদিকে চলতি হিসাববছরের মধ্যবর্তীকালীন অনিরীক্ষিত আর্থিক চিত্র অনুসারে ৯ মাসে বা তিন প্রান্তিকে টার্নওভার বা বিক্রি আয় দাঁড়িয়েছে ১৬৬ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। চলতি ব্যবসায় কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২৩৩ কোটি তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা। চলমান ব্যবসাবহির্ভূত আয়সহ কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২৩৩ কোটি তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া চলমান ব্যবসায় তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২১ টাকা ৫৩ পয়সা।
