নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে গতকাল বুধবার মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন হয়। সেই সঙ্গে বেড়েছে শেয়ার কেনাবেচার সংখ্যা এবং লেনদেন। দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। তবে দিন শেষে ব্যাংকিং খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে সূচক সন্তোষজনকভাবে বেড়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে বুধবার ৬৩৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ১৭ কোটি ২১ লাখ টাকা বেশি। মঙ্গলবার ডিএসইতে ৬৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। মোট লেনদেনের প্রায় ২১ শতাংশই ছিল ব্যাংকিং খাতের অবদান।
ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, কমেছে ৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টির শেয়ারদর।
এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৮২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক চার পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৩১৭ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক সাত পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে দুই হাজার ১৩১ পয়েন্টে।
ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আইডিএলসি ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণফোন, আরএকে সিরামিক, সিটি ব্যাংক, ইফাদ অটো, ওয়ান ব্যাংক, শাহজীবাজার পাওয়ার ও ফু-ওয়াং ফুড।
দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সাফকো স্পিনিং, ১ম প্রাইম মিউচুয়াল ফান্ড, প্রগতী ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ব্যাংক, মিথুন নিটিং, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স, আরএকে সিরামিক, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ফু-ওয়াং সিরামিক ও এ´িম ব্যাংক।
দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : পিএফআই মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, মুন্নু সিরামিক, ভ্যানগার্ড মিউচুয়াল ফান্ড, শাইনপুকুর সিরামিক, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, সাউথইস্ট ব্যাংক ও জুট স্পিনার্স।
সংশ্লিষ্টদের মতে, কিছুদিন ধরেই মুদ্রানীতিকে ঘিরে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মনে কিছুটা অস্থিরতা কাজ করেছিল। আগামী অর্ধবার্ষিকে তারল্য প্রবাহ ও ঋণ প্রবাহের মাত্রা কেমন হবে তা ঘোষিত এই মুদ্রানীতিতে। বুধবারের মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক-নেতিবাচক কোনো কিছুই ছিল না। শুধুতাই নয় গর্বনর ফজলে কবির ঘোষণা করেন মুদ্রানীতির সঙ্গে পুঁজিবাজারের কোনো সম্পর্ক নেই। এতেই বিনিয়োগকারীদের মনে আশার সঞ্চার হয়, কিছু না থাকলেও অন্তত নেতিবাচক কোনো প্রভাব বাজারে পড়বে না। এ কারণে শেষ বিকালে এসে বাজারে লেনদেন ও শেয়ার কেনার চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া বুধবারে বেশ কিছু কোম্পানির অর্ধবার্ষিকী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সেটিও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে ব্যাংক খাতের দরবৃদ্ধি বাজারে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা বজায় রেখেছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ৩৮ কোটি দুই লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৬০ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪২টির, কমেছে ৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টি কোম্পানির শেয়ার।
সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ফাইন ফুড, গ্রামীন ফোন, সাইফ পাওয়ারটেক, ফু-ওয়াং ফুড, রূপালী ব্যাংক, ফরচুন সুজ, আইডিএলসি, এ´িম ব্যাংক, কেয়া কসমেটিক ও জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন।
Add Comment