নিজস্ব প্রতিবেদক: ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে চালু হওয়া স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় ২০ লাখ ৭২ হাজার ৫৯৭টি হিসাব খুলেছে বিদ্যালয়গামী ছেলেমেয়েরা। এসব হিসাবে জমার পরিমাণ এক হাজার ৮০৭ কোটি টাকা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকে স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় খোলা হিসাবগুলোর মধ্যে শহরের শিক্ষার্থীদের হিসাব ছিল প্রায় ৬৪ শতাংশ। অন্যদিকে গ্রামের শিক্ষার্থীদের হিসাব ছিল ৩৬ শতাংশ। জমাকৃত টাকার মধ্যে শহরাঞ্চলের আমানত ছিল ৭০ শতাংশ এবং গ্রামের আমানত ছিল ৩০ শতাংশ।
হিসাব খোলার দিক দিয়ে ছাত্রীরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ব্যাংক হিসাবের ৪০ শতাংশ ছিল ছাত্রীদের এবং আমানতের প্রায় ৪৪ শতাংশ ছিল ছাত্রীদের।
স্কুল ব্যাংকিংয়ের হিসাব খোলার শীর্ষে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। এই ব্যাংকটিতে স্কুল হিসাব রয়েছে ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের হিসাবের হার ১৯ দশমিক ০৭ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা অগ্রণী ব্যাংকে স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের হার ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
আমানত সংগ্রহের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। স্কুল ব্যাংকিংয়ের আমানতের ২৬ দশমিক ৪২ শতাংশ এই ব্যাংকটির হাতে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইস্টার্ন ব্যাংকের হাতে রয়েছে স্কুল ব্যাংকিংয়ের ১৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ আমানত।
এদিকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় পথশিশু ও কর্মজীবী কিশোর-কিশোরীদের ব্যাংক হিসাবসংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৯০৯টি। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব হিসাবে জমা করা টাকার পরিমাণ ছিল ৩৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা। ১৯টি ব্যাংক ১৫টি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে পথশিশুদের ব্যাংক হিসাব খুলতে সহায়তা করছে।
পথশিশুদের হিসাব খোলার দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। এই ব্যাংকটিতে পথশিশুদের হিসাব রয়েছে এক হাজার ১৪১টি। অন্যদিকে পথশিশুদের আমানত সংগ্রহের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে রূপালী ব্যাংক। এই ব্যাংকটিতে পথশিশুদের আমানত রয়েছে ১১ লাখ ১২ হাজার টাকা।