Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 1:05 pm

ব্যাংক ঋণ নিয়ে নতুন প্লান্ট স্থাপন করবে ওয়াটা কেমিক্যাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বিদ্যমান প্লান্টে বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, আধুনিকায়ন, বিস্তার ও প্রতিস্থাপন) এবং নতুন প্লান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ৫০ কোটি ৯১ লাখ টাকা অগ্রণী ব্যাংক থেকে অর্থায়ন করা হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে বিদ্যমান ইউনিটের বিএমআরই করার পাশাপাশি নতুন ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওয়াটা কেমিক্যালসের পর্ষদ সভার সিদ্ধান্ত  অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত কারখানায় কোম্পানিটির বার্ষিক ১৮ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতার সালফিউরিক অ্যাসিড প্লান্ট ইউনিট-১-এর বিএমআরই, বার্ষিক ১২ হাজার টন উৎপাদন ক্ষমতার নতুন অ্যালুমিনিয়াম সালফেট (এলাম) প্লান্ট ইউনিট-২ স্থাপন, বার্ষিক সাত হাজার ২০০ টন উৎপাদন সক্ষমতার লিনিয়ার অ্যালকাইল বেনজিন সালফোনিক অ্যাসিড (ল্যাবসা) ও সোডিয়াম লরেল ইথার সালফেট (এসএলইএস) প্লান্ট স্থাপন করা হবে। তাছাড়া বার্ষিক চার হাজার ৫০০ টন উৎপাদন সক্ষমতার পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড (প্যাক) প্লান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড শিল্প-কারখানার পানি ও খাবার পানি পরিশোধন শিল্পে ব্যবহার হয়।

কোম্পানিটির উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে সালফিউরিক এসিড, অ্যালুমিনিয়াম সালফেট, জিংক সালফেট, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, বেসিক ক্রোমিয়াম সালফেট ও ল্যাবসা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসাসহ সব পানির শোধনাগার, সারকারখানা, ইটিপি প্লান্ট, বিদ্যুৎকেন্দ্র, পেপার ও বোর্ড মিলস, চামড়া শিল্প, স্টিল ও আয়রন মিলস, গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল, ব্যাটারি, সাবান ও ডিটারজেন্ট শিল্প, ওষুধ, রং, ইথার, গ্লু, রাবার প্রস্তুত শিল্প, স্বর্ণ প্রক্রিয়াকরণ শিল্পসহ আরও বেশকিছু শিল্পে এসব কেমিক্যাল ব্যবহূত হয়।

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ৩০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ৫১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ৫৫ পয়সা। এর আগের বছর অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১৭ সালের সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আর ওই সময় ইপিএস হয়েছে চার টাকা ১৩ পয়সা ও এনএভি ৭৭ টাকা ৬৫ পয়সা। আর করপরবর্তী মুনাফা করে পাঁচ কোটি দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর পাঁচ দশমিক ৪১ শতাংশ বা ২৭ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫২৭ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫২৭ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪৬ হাজার ৫৮৫টি শেয়ার মোট ৮৬৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৪২ লাখ ৯২ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫০৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫২৮ টাকায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ২৭০ টাকা থেকে ৬২৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। অনুমোদিত মূলধন ১৫ কোটি টাকার বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৪ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট এক কোটি ১৮ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৬ দশমিক ৪১ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, ৩৮ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং বাকি ২৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৯৫ দশমিক ৬৬। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৪৭ দশমিক ৪০।