সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: রি-কন্ডিশনড গাড়ির আমদানিকারক ছিলেন মোবাশ্বের আলম ভূইয়া। এসব আমদানি করা গাড়ি বিক্রির জন্য চট্টগ্রাম ও ঢাকায় একাধিক শোরুমও দেন। আর গাড়ি ব্যবসায় মূলধন বিনিয়োগের জন্য ব্যাংক এশিয়া খাতুনগঞ্জ (চট্টগ্রাম) শাখার ঋণ সুবিধা নেন। কিন্তু ব্যবসায়িক ব্যর্থতায় খেলাপি ঋণের গ্রাহকে পরিণত হন। তার কাছে ব্যাংকটির খেলাপি পাওনা সাত কোটি ৩৬ লাখ টাকা। যদিও এখন তিনি গাড়ি আমদানি নিজে করেন না, আমদানি করা অন্য গাড়ি শোরুমে রেখে বিক্রি করেন।
ব্যাংক এশিয়া খাতুনগঞ্জ শাখা সূত্রে জানা গেছে, রি-কন্ডিশন গাড়ি আমদানিকারক ছিলেন মোবাশ্বের আলম। তার মালিকানাধীন জম জম কার অ্যান্ড অটোমোবাইল এসব আমদানি করা গাড়ি বিক্রির জন্য একাধিক শোরুমও খোলেন। এ প্রতিষ্ঠানে মোবাশ্বের আলম ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১০২ সিডিএ এভিনিউ শাখার গাড়ি ব্যবসায় মূলধন বিনিয়োগের জন্য ব্যাংক এশিয়া খাতুনগঞ্জ শাখার ঋণ সুবিধা নেন। কিন্তু ব্যবসায়িক ব্যর্থতায় খেলাপি ঋণের গ্রাহকে পরিণত হন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটিতে তার সুদাসলসহ খেলাপি ঋণের পরিমাণ সাত কোটি ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮ টাকা। আর এ ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি হিসেবে ডবলমুরিং ও চাঁদগাঁও থানায় মোট ৪৯ ডেসিমেল জমি রয়েছে। পাওনা আদায়ের জন্য এসব জমি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিলামে বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর খাতুনগঞ্জ শাখায় নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে থেকে গাড়ি আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, তবে অন্য আমদানি করা গাড়ি শোরুমে রেখে বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের খেলাপি গ্রাহক জম জম কার অ্যান্ড অটোমোবাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবাশ্বের আলম ভূইয়া রি-কন্ডিশন গাড়ির একজন আমদানিকারক। এসব আমদানি করা গাড়ি বিক্রির জন্য একাধিক শোরুমও রয়েছে। কিন্তু ব্যবসা অনেক সেøা হয়ে পড়েছে। সময়মতো ঋণের কিস্তি দিতে পারছেন না। এজন্য তার বিরুদ্ধে চেক প্রত্যাখ্যানের মামলা হয়েছে। এখন পুরোপুরিভাবে খেলাপি। তাই আইনানুসারে বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ঋণের তুলনায় সম্পত্তির মূল্য বেশি আছে। তাই আমরা বেশি চিন্তিত নই। এছাড়া তার ঋণ পরিশোধের আগ্রহ ও চেষ্টা আছে।
ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পরিশোধের বিষয়ে জানতে মোবাশ্বের আলম বলেন, ব্যবসা খারাপ হওয়ায় ব্যাংক এশিয়ায় খেলাপি হয়েছি। খেলাপি ঋণ থেকে উত্তরণের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা নেই। আর ঋণ রি-শিডিউলের জন্য এখনও আবেদন করিনি। তবে আমাদের পরিকল্পনা আছে। এর বেশি কিছু এখন বলতে পারব না।