রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল সূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। ডিএসইএক্স সূচক ২৮ পয়েন্ট বাড়লেও বাকি দুই সূচক কমেছে। প্রায় দুই মাস পর গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা ছাড়াল। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে ৫৯৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়। মূলত ব্যাংক ও আর্থিক খাতের লেনদেন বৃদ্ধির কারণে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে। তবে গতকাল বস্ত্র খাতের শেয়ারের চাহিদা বেশি থাকায় এ খাত লেনদেনে শীর্ষে উঠে আসে। অন্যদিকে বিমা, জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, চামড়াশিল্প ও বিবিধ খাতে ছিল বিক্রির চাপ। গতকাল ডিএসইতে দর বেড়েছে ৫২ শতাংশ কোম্পানির। কমেছে ৩৮ শতাংশের। শতভাগ ইতিবাচক ছিল তথ্য ও প্রযুক্তি এবং কাগজ ও মুদ্রণ খাত। একটি কোম্পানির দরও বাড়েনি টেলিযোগাযোগ এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে।
১৫ শতাংশ লেনদেন হয়ে বস্ত্র খাত লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে। এ খাতে লেনদেন হয় প্রায় ৮৪ কোটি টাকা। চাহিদা বেশি থাকায় গতকাল এ খাতে দর বেড়েছে ৮৭ শতাংশ কোম্পানির। দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় সাত কোম্পানি ছিল বস্ত্র খাতের। এসব কোম্পানি হচ্ছে: সায়হাম টেক্সটাইল, কুইন সাউথ, জাহিন স্পিনিং, ড্রাগন সোয়েটার, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, ম্যাকসন্স স্পিনিং, হাক্কানী পাল্প। এসব শেয়ারের দর প্রায় ৯ থেকে ১০ শতাংশ বেড়েছে। কাট্টলী টেক্সটাইলের ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে এক টাকা। আগের দিনের চেয়ে তিন শতাংশ বেড়ে ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ১৪ শতাংশ। এ খাতে ৭৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সিটি ব্যাংকের ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৮০ পয়সা। প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৫০ পয়সা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় ৭০ পয়সা। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১৪ শতাংশ। এ খাতে ৬৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সাড়ে ৯ শতাংশ দর বেড়ে সেন্ট্রাল ফার্মা দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। বীকন ফার্মার ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে ১০ পয়সা। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ। এ খাতে ৫৯ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ন্যাশনাল টিউবসের সাড়ে ১৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে এলেও দরপতন হয় চার টাকা ৪০ পয়সা। জ্বালানি খাতে ৫৫ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। মেঘনা পেট্রোলিয়ামের প্রায় ১১ কোটি টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয় ৬০ পয়সা। আর্থিক খাতে লেনদেন বেড়েছে তিন শতাংশ। এ খাতে ৯০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সোয়া ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয় লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের। দর বেড়েছে এক টাকা ১০ পয়সা। তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের অগ্নি সিস্টেম, কাগজ ও মুদ্রণ খাতের হাক্কানী পাল্প এবং খাদ্য খাতের ফু-ওয়াং ফুড দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে।