রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল সূচকের টানা উত্থান থাকলেও বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন হয়। সেইসঙ্গে লেনদেনও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। তা সত্ত্বেও সবগুলো সূচকের ইতিবাচক অবস্থান ধরে রাখতে মূল ভূমিকা রেখেছে ব্যাংক ও আর্থিক খাত। গতকাল এ দুই খাতের পাশাপাশি বিমা খাত ও মিউচুয়াল ফান্ড খাত ইতিবাচক অবস্থানে ছিল। বাকি সবগুলো খাতের বেশিরভাগ কোম্পানি দরপতনে ছিল। আবার কোনো কোনো খাত শতভাগ নেতিবাচক অবস্থানে চলে যায়। দীর্ঘদিন পর লেনদেনের শীর্ষপদে উঠে এসেছে ব্যাংক খাত। আর তার সহযোগী হয়েছে আর্থিক খাত। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র ৩৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে ৫৪ শতাংশের দর। লেনদেন কমেছে ২০ কোটি টাকা।
সবচেয়ে বেশি ১৪৭ কোটি টাকা লেনদেন হয় ব্যাংক খাতে, যা মোট লেনদেনের ২৬ শতাংশ। গতকাল এ খাতে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৬১ কোটি টাকা। এ খাতের ৩০ কোম্পানির মধ্যে ২৮টির দর বেড়েছে। দুটির দর অপরিবর্তিত ছিল। শাহজালাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। কোম্পানিগুলোর দর ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এছাড়া সিটি ব্যাংকের ১৫ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংকের ১২ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক পৌনে ১১ কোটি, ন্যাশনাল ও ব্রাক ব্যাংকের সাড়ে ৯ কোটি টাকা করে শেয়ার লেনদেন হয়। আর্থিক খাতে আগের দিনের তুলনায় ৩১ কোটি টাকা লেনদেন বেড়েছে। এ খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ১৫ শতাংশ। এ খাতের ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, মাইডাস ফাইন্যান্সিং, আইপিডিসি, প্রিমিয়ার লিজিং, বিডি ফাইন্যান্স, আইডিএলসি ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। এসব শেয়ারের দর প্রায় ৯ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের প্রায় ২১ কোটি টাকা ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাড়ে ১০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। বস্ত্র খাতে ১৫ শতাংশ লেনদেন হলেও এ খাতের ৮৪ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। প্রকৌশল খাতে ১৩ শতাংশ লেনদেন হলেও এ খাতের ৯১ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। বিমা খাতে ৬৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। সিমেন্ট খাতে ৮৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। অন্যদিকে টেলিযোগাযোগ, পাট, কাগজ ও মুদ্রণ এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত শতভাগ নেতিবাচক অবস্থানে ছিল।