ব্যাংক খাতের বড় উত্থানে বাজার ভালো অবস্থায় এসে দাঁড়ায়

প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এনটিভি ‘মার্কেট ওয়াচ’ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে শেয়ার বিজের নিয়মিত আয়োজন ‘এনটিভি মার্কেট ওয়াচ’ পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো:

চলতি বছরের প্রথম দিকে দেশের পুঁজিবাজার খুব একটা ভালো অবস্থায় ছিল না। ফেব্রুয়ারি থেকে ধীরে ধীরে গতিবিধি পরিবর্তন হতে শুরু করে এবং এক সময় ব্যাংক খাতের বড় উত্থানে বাজার ভালো অবস্থায় এসে দাঁড়ায়। যদিও তখন ব্যাংক খাতের উত্থান হওয়ার কথা ছিল না। প্রকৃতপক্ষে এখন এ খাতের দর বাড়ার কথা। কারণ সামনে ডিসেম্বর ক্লোজিং। কিন্তু সরকার থেকে ব্যাংকের ডিরেক্টর-সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের ঘোষণা শোনাতে তখন থেকেই এ খাতের শেয়ারদর বাড়তে শুরু করে। গতকাল মঙ্গলবার খুজিস্তা নূর-ই-নাহারীনের সঞ্চালনায় এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন, এফসিএ ও ফনিক্স সিকিউরিটিজের সাবেক এমডি এ কাদের চৌধুরী।

ফোরকান উদ্দিন বলেন, আমরা ব্যাংকে পরিবারতন্ত্র ঢুকতে ও ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তন লক্ষ করেছি। ফলে তখন দেখা গেছে ভলিউম থেকে শুরু করে বাজারের সবকিছুই একটি উচ্চপর্যায় ছুঁয়েছে। পরে মন্ত্রিসভায় ব্যাংকের ডিরেক্টর-সংক্রান্ত আইন পাস হবে হবে বলে এখনও হয়নি। কিন্তু এক পর্যায়ে এসে যখন বিষয়টি বন্ধ হয়ে গেল, তখন ব্যাংক খাতের গতিবিধিও বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে জুন ক্লোজিংয়ের শেয়ারগুলো সেভাবে অবস্থান করতে পারেনি। ব্যাংক খাত সম্পূর্ণ বাজার দখল করে ছিল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসে যখন এ খাতের গতিবিধি বন্ধ হয়ে যায়, তখন অন্যান্য খাতও ঝিমিয়ে পড়ে। আর আমরা সব সময়ই দেখে আসছি ব্যাংক খাত যখন পড়ে যায়, তখন সবকিছু নিয়েই নি¤œমুখী হয়। কিন্তু যখন ওঠে, তখন সবকিছু নিয়ে ওঠে না। আর সবকিছু নিয়ে পড়ার পেছনে যুক্তি ছিল বিনিয়োগকারীদের অদূরদর্শিতা। সব মিলিয়ে ২০১৭ সালে বাজার খুব ভালো গেছেÑতা বলব না। কারণ টার্নওভার এখনও অনেক কম। তবে নিশ্চিত, এটি পরিবর্তন হবে।

অনুষ্ঠানে এ কাদির চৌধুরী বলেন, ব্যাংক খাতের শেয়ার অনেক অবমূল্যায়িত অবস্থায় ছিল এবং এ খাতের শেয়ারদর আরও আগেই বাড়া উচিত ছিল। ডিরেক্টর-সংক্রান্ত্র আইন পরিবর্তনে সম্প্রতি এ খাতের শেয়ারদর বাড়ে। তাছাড়া নতুন শেয়ারগুলো বাজারে অনেক বেশি দরে আসছে। আমরা নেট বাজারে ১৫০ টাকায় এসেছিল। এখন সেটি ১০০ টাকার নিচে। যারা স্পনসর আছে, হয়তো তাদের মধ্যে কেউ বিভিন্ন নামে শেয়ার বিও অ্যাকাউন্ট করে রেখেছে। পাশাপাশি শেয়ারদর বাড়ানোর জন্য তাদের মধ্যেই হয়তো এই ট্রেডটি তারা করেছে। আর শেয়ারদর অধিক বাড়ার কারণে লাভের আশায় বিনিয়োগকারীরাও ওই শেয়ারে ঝোঁকেন। এতে বিনিয়োগকারীরা একটি জালের মধ্যে পড়েছেন। ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও বাই ব্যাক পদ্ধতির ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি।

 

শ্রুতি লিখন: রাহাতুল ইসলাম

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০