Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 8:39 pm

ব্যাংক খাতে ফিরেছেন বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিমা ও মিউচুয়াল ফান্ডের পর এবার ব্যাংক খাতে ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা। তুলনামূলকভাবে এ খাতের সিংহভাগ শেয়ারদর অনেক কম, যে কারণে এসব শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারী, যার জের ধরে বাড়ছে এসব শেয়ারদর। গতকালও এর বিপরীত দেখা যায়নি।

গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল ব্যাংক খাতের শেয়ারে। সকাল থেকে এ খাতের শেয়ারের চাহিদা ছিল সবার শীর্ষে। এ খাতের প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা বেশি ছিল, যার জের ধরে দিন শেষে এ খাতের ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়। দর কমতে দেখা যায় শুধু পূবালী ব্যাংকের শেয়ারের। লেনদেন শেষে এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারদর কমে ৩০ পয়সা। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দাঁড়ায় ১৩ শতাংশ।

এদিকে গতকালও মিউচুয়াল ফান্ড থেকে মুনাফা তোলেন বিনিয়োগকারীরা, যে কারণে গতকালও এ খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের ইউনিটদর কমে যায়। তবে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল আগের দিনের মতো। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ৩৪ শতাংশ। মিউচুয়াল ফান্ডের মতো ভালো অবস্থানে ছিল না বিমা খাতও। গতকালও এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমে। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল প্রায় ১৯ শতাংশ।

অন্যদিকে গতকালও সন্তোষজনকভাবে ঊর্ধ্বমুখী ছিল ডিএসইর সূচক। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে স্থির হয় চার হাজার ৯০৫ পয়েন্টে। এদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট ৭৯০ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়।

এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৩৭ কোটি টাকা। এদিন ব্লক মার্কেটে মার্কেটে ৩১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। গতকাল এ কোম্পানিগুলোর ৬৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৯টি শেয়ার ৮৪ বার হাতবদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৩৭ কোটি ১৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৫ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চার কোটি ৭০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার গ্রামীণফোনের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ চার কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর।

এছাড়া এবি ব্যাংকের পাঁচ লাখ চার হাজার টাকার, আমান ফিডের ছয় লাখ পাঁচ হাজার টাকার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকার, বিডি ল্যাম্পসের আট লাখ ২৫ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ১০ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।