রুবাইয়াত রিক্তা: টানা তিন কার্যদিবসে প্রায় ৮৯ পয়েন্ট সূচকের উত্থানের পর গতকাল সংশোধন হয়েছে পুঁজিবাজার। সূচকের সঙ্গে লেনদেনেও কমেছে। গত ৩০ জুলাই সূচকের অবস্থান ছিল পাঁচ হাজার ৮০২ পয়েন্টে। তিন কার্যদিবসের উত্থানে সূচক পৌঁছায় পাঁচ হাজার ৮৯১ পয়েন্টে। গতকাল ১০ পয়েন্ট কমে নেমে আসে পাঁচ হাজার ৮৮০ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন দ্বিগুণ হয়ে ছয়শ কোটির ঘর থেকে ১২শ কোটির ঘরে পৌঁছে। গতকাল প্রায় ১৬০ কোটি টাকা লেনদেন কমেছে। তবে এটাকে স্বাভাবিক সংশোধন মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। আর বাজারের ভারসাম্য বজায় রাখতে সংশোধন হতেই হবে।
গতকাল সূচকের পতনে মূল ভূমিকা রেখেছে গ্রামীণ ফোন। জিপির দর কমেছে চার টাকা ১০ পয়সা বা ১.০৮ পয়েন্ট। অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ দেওয়ার রেকর্ড ডেট ছিল গত বুধবার। পরদিন অর্থাৎ গতকাল সমন্বয়ের কারণে শেয়ারটির দর এতটা কমেছে।
গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্যাংক খাতে। এ খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ২৩ শতাংশ বা ২৩৮ কোটি টাকা। গত কয়েক দিন এ খাতের দরবৃদ্ধির প্রভাবে অনেকেই গতকাল এ খাত থেকে মুনাফা তুলে নেন। ফলে এ খাতের ১৪টি কোম্পানির দর সংশোধন হয়। যার প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। ১৮ শতাংশ বা ১৮৬ কোটি টাকা লেনদেন হয় বস্ত্র খাতে। এ খাতও সংশোধনের ধারায় ছিল। এরপর ১০ শতাংশ বা ১০০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয় প্রকৌশল খাতে।
এ খাতের ৩৪ কোম্পানির মধ্যে ১৭টির দর কমেছে, ১৫টির দর বেড়েছে, দুটি অপরিবর্তিত ছিল।
গতকাল ইতিবাচক ছিল আর্থিক ও মিউচুয়াল ফান্ড খাত। আর্থিক খাতের ২৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮টিরই দর বেড়েছে। লেনদেন হয় ৮৫ কোটি টাকা বা আট শতাংশ। মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ৩৫টি ফান্ডের মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, কমেছে দুটির, দুটি অপরিবর্তিত ছিল। সামনে ফান্ডগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুম আসছে। এ কারণে দীর্ঘদিন পর চাঙা হয়ে উঠছে এ খাত। দরবৃদ্ধির শীর্ষ পর্যায়ে মিউচুয়াল ফান্ডের আধিপত্য ছিল।
তবে শীর্ষ পর্যায়ে যেসব জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির দৌরাত্ম্য ছিল সেগুলো হচ্ছে, নর্দার্ন জুট ৭.৪৮ শতাংশ, সায়হাম কটন ৭.৪৮ শতাংশ, বিচ হ্যাচারি ৪.৪২ শতাংশ, ইউনাইটেড এয়ারের দর ৪.৪১ শতাংশ বেড়েছে।
Add Comment