ব্যাংক ছাড়া অন্য খাতে আস্থা নেই বিনিয়োগকারীদের  

রুবাইয়াত রিক্তা: ব্যাংক ও বিমা খাতে ভর করে গতকাল পুঁজিবাজার ইতিবাচক অবস্থানে ছিল। তবে অন্যান্য খাতের শেয়ার বিক্রির চাপ লেনদেন বাড়ার অন্যতম কারণ। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় ৪৫ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। বেড়েছে ৪৩ শতাংশ শেয়ারের দর। দু’একদিন বিরতি দিয়ে ঘুরেফিরে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক খাতেই ফিরে আসছেন। তাদের মধ্যে আতঙ্ক কাটছে না। যার কারণে অন্যান্য খাতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না তারা। অন্য খাতে বিনিয়োগ করলেও দু’তিন দিনের মধ্যে সেখান থেকে বেরিয়ে ফের ব্যাংক খাতেই বিনিয়োগ করছেন। বিনিয়োগকারীদের এ প্রবণতা দূর না হলে পুঁজিবাজার সহজেই স্থিতিশীল অবস্থানে আসবে না।

গতকাল ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ৫৩ শতাংশ বা ৫৫৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪২০ কোটি টাকা বা ৪৮ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বাড়ে ১৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক খাতে বেড়েছে ১৩৮ কোটি টাকা। এ খাতের ৮৬ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। কমেছে একমাত্র ব্র্যাক ব্যাংকের। অপরিবর্তিত ছিল তিনটি। বিমা খাতে গতকাল ৮২ শতাংশ বা ৩৯টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে মাত্র পাঁচটির। এ খাতে লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি টাকা। কোম্পানির হিসাবে বৃহৎ খাত হিসেবে বিবেচিত হলেও মূলধন কম থাকায় এ খাত বাজারে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। আর্থিক খাতে লেনদেন হয় প্রায় ৯৩ কোটি টাকা। যা মোট লেনদেনের ১৪ শতাংশ। এ খাতে বিক্রির প্রবণতা বেশি থাকায় ৪৭ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। দর বাড়ে ৩৯ শতাংশের। এছাড়া বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতে মোট লেনদেনের ছয় শতাংশ করে হলেও এ দুই খাতের অধিকাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। আইটি ও জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন খাত কিছুটা ইতিবাচক ছিল। এ তিন খাতে ৭৫ শতাংশ, ৬১ শতাংশ ও ৫৭ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। আইটি খাতে মোট ৫০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এর মধ্যে আমরা নেটের শেয়ার ৩১ কোটি টাকায় লেনদেন হয়।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৪২ পয়েন্ট। আর এ সূচক বৃদ্ধিতে মূল ভ‚মিকা রাখে গ্রামীণফোন, ইসলামী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা ও আইসিবির দর বৃদ্ধি। গতকাল লেনদেনের নেতৃত্বেও ছিল ৭০ শতাংশ ব্যাংক। এর মধ্যে উত্তরা ব্যাংক ৪৭ কোটি, এক্সিম ব্যাংক ৩৮ কোটি, ইউসিবি ৩৩ কোটি, লংকাবাংলা ৩৩ কোটি, আমরা নেট ৩১ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক সাড়ে ২৮ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ২৭ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক ২৬ কোটি ও বিবিএস কেবল্সের ২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।