মাহবুবুল আলম: বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি মাহবুবুল আলম। চট্টগ্রামের সফল ব্যবসায়ীদের একজন তিনি। দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের মেসার্স আলম ট্রেডিং করপোরেশন দিয়ে উত্থান হলেও এখন তার পরিচালনাধীন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০টির বেশি। কেবল নামকরণেই নয়, সত্যিকারের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে তিনি দেখতে চান চট্টগ্রামকে। তাই ব্যাংক-বিমার প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে থাকা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
তিনি জানান, রাষ্ট্রের ডিসিশন মেকিং অফিসগুলোর কয়েকটি এ অঞ্চলে স্থানান্তর হলে চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের নানা সংকট নিয়ে শেয়ার বিজের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দেশের উন্নয়নে চট্টগ্রামকেন্দ্রিক নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ব্যবসা পরিচালনায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা কোন ধরনের সমস্যায় রয়েছেন?
—চট্টগ্রামকে শিল্পনগরী, বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হলেও এটি আসলে বন্দরনগরী। তবে শিল্প ও বাণিজ্যে আমরা আরও অনেক দূর এগোতে পারতাম। আর্থিক খাতের প্রধান অফিসগুলো এ অঞ্চলে না থাকায় সব সময় ব্যবসায়ীদের রাজধানী ঢাকায় দৌড়াতে হয়। রাষ্ট্রের পলিসি মেকারদের মধ্যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। শিল্প-বাণিজ্যের উন্নয়ন চাইলে ঢাকাকে প্রাধান্য দেওয়া কমাতে হবে। ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে ইটিপি ডিউটি ফ্রি করে দিতে হবে। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং লাভই হবে।
চট্টগ্রামে শিল্প–বাণিজ্যের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতাগুলো কী?
—অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার। বিদ্যুতের কোনো সংকট না থাকলেও গ্যাস সংযোগ পেতে ঝামেলা হয়। অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে হলে এলোমেলো পরিকল্পনা থেকে সরে আসা প্রয়োজন। বর্তমানে মহানগরীতে কয়েকটি শিল্পাঞ্চল রয়েছে। দূষণ এড়াতে এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়া জরুরি।
নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?
—দেশের সব ব্যবসায়ীর সুবিধার জন্য আমাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে অনলাইন পোর্টাল খুলেছি। এটিকে তথ্যভাণ্ডার বানাতে চাই। আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা হলো এই পোর্টাল থেকে ব্যবসার নানা দিকনির্দেশনা যাতে তারা পান, তার ব্যবস্থা করা।
সভাপতি
চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি