রুবাইয়াত রিক্তা: আগের দিন ব্যাংক ও আর্থিক খাতের উত্থানে বাজার ইতিবাচক ছিল। কিন্তু গতকাল ব্যাংক-বিমা খাতের উত্থান বাজারকে ইতিবাচক করতে ব্যর্থ হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেনের এক চতুর্থাংশের বেশি ছিল ব্যাংক খাতের দখলে। আর ব্যাংক-বিমা খাতের দখলে ছিল ৩৯ শতাংশ লেনদেন। এ দুই খাতে শেয়ার কেনার চাহিদাও সবচেয়ে বেশি ছিল। বাকি খাতগুলো বড় দরপতনের কবলে পড়ায় বাজার ইতিবাচক হতে পারেনি। এসব খাতে নামমাত্র কয়েকটি কোম্পানির দর বেড়েছে। গতকাল ৫৬ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। টেলিযোগাযোগ, সিরামিক, সেবা ও আবাসন, কাগজ ও মুদ্রণ খাত শতভাগ নেতিবাচক অবস্থানে ছিল।
ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৬ শতাংশ ১২৪ কোটি টাকা লেনদেন হয় ব্যাংক খাতে। এ খাতে ৭৭ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় ৩০ পয়সা। আইএফআইসি ব্যাংকের ৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১০ পয়সা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৬০ পয়সা। এক্সিম ব্যাংকের আট কোটি ১৩ লাখ, সিটি ব্যাংকের আট কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাড়ে সাত কোটি, ইসলামী ব্যাংকের সাত কোটি টাকা লেনদেন হয়। সব কয়টি ব্যাংকের দরই ইতিবাচক ছিল। ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে ইসলামী ব্যাংক। আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের দর আট দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে। দর বৃদ্ধিতে পঞ্চম অবস্থানে ছিল ব্যাংকটি। বিমা খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ। এ খাতে ৭২ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের সাড়ে ১১ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে দুই টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটি দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। রূপালী লাইফের দর ছয় শতাংশ ও প্রিমিয়ার ইন্স্যুরেন্সের দর সাড়ে পাঁচ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে। এরপরে বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতে ৬৫ শতাংশ কোম্পানির দর কমেছে। স্টাইলক্রাফটের দর আট দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। ওষুধ খাতের লেনদেন আট শতাংশে নেমেছে। দর বেড়েছে ৩৯ শতাংশ কোম্পানির। দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে সিলকো ফার্মা ও ওয়াটা কেমিক্যাল। স্কয়ার ফার্মার ৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয় ছয় টাকা ১০ পয়সা, যা সূচক নেতিবাচক করতে ভূমিকা রেখেছে। ১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার বেচাকেনা হয়ে সিমেন্ট খাতের লাফার্জহোলসিম লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে। টানা তিন দিনে শেয়ারটির দর সাড়ে সাত টাকা বৃদ্ধির পর গতকাল দর সংশোধন হয়ে দরপতনের শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করে। এছাড়া ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স দর বৃদ্ধিতে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে। ফরচুন শুজের প্রায় ৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে ৯০ পয়সা। ন্যাশনাল টিউবসের সোয়া আট কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে সাড়ে চার টাকা।