নিজস্ব প্রতিবেদক: ইজিবাইক ব্যাটারি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ও পোলট্রি ফিড ফ্যাক্টরি থেকে ক্যাসিনোর মেশিন মাহাজং জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। গতকাল নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ থেকে এসব সামগ্রী জব্দ করা হয়। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি মোবাইল ফোন কারখানা থেকে মাহাজং ও ক্যাসিনো সামগ্রী জব্দ করা হয়।
ড. মো. সহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ নেয়াজুর রহমান ও শামীমা আক্তারের দুটি গোয়েন্দা দল মুন্সীগঞ্জের নিউ হোপ এগ্রোটেক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে দুটি এবং নারায়ণগঞ্জের ডংজিং লংজারভিটি ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড থেকে ক্যাসিনো খেলার একটি ইলেকট্রিক মাহাজং মেশিন উদ্ধার করে। ক্যাসিনো খেলার সামগ্রী মাহাজং মেশিন প্রতিষ্ঠান দুটির উৎপাদিত পণ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলেও তারা কেন এরূপ জুয়া খেলার মেশিন আমদানি করেছে, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান দুটির আমদানি করা পণ্য চালানের বিল অব এন্ট্রি পর্যালোচনায় দেখা যায়, তারা অপেক্ষাকৃত কম মূল্য ঘোষণায় শুল্কায়ন সম্পন্ন করে পণ্য খালাস করেছে। এক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে শুল্ককর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে মাহাজং আমদানির বেশ কিছু পণ্য চালান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর শনাক্ত করেছে। আমদানির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ২০টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বাণিজ্যিক আমদানিকারক কর্তৃক ক্যাসিনো খেলার সামগ্রী মাহাজং আমদানির বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান মহাপরিচালক।
মহাপরিচালক জানান, রোববার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকার বেস্ট টাইকুন (বিডি) এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের কারখানার গুদাম থেকে মাহাজং নামক ক্যাসিনো বোর্ড ও অনান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, মোবাইল ফোন কারখানার কাঁচামালের সঙ্গে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে চাইনিজ ক্যাসিনো সামগ্রী (জুয়ার বোর্ডÑমাহাজং) আমদানি করা হয়েছে। যদিও ক্যাসিনো সামগ্রী তথা মাহাজং মোবাইল ফোন উৎপাদনের কোনো কাঁচামাল নয়, তথাপি আমদানিকালে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে অগ্রিম কর অব্যাহতি সুবিধা গ্রহণ করে শুল্ককর ফাঁকি প্রদান করা হয়েছে। হংকং ও ম্যাকাও’র ক্যাসিনোতে গ্যাম্বলিংয়ের (জুয়া) জন্য মাহাজংয়ের বহুলপ্রচলন রয়েছে। বাংলাদেশে এরূপ বেশকিছু ক্যাসিনো সামগ্রী (মাহাজং) আমদানির বিষয়টি কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের নজরে এসেছে।
