ব্যাটে-বলে বাংলাদেশের হতাশার দিন

ক্রীড়া ডেস্ক: ব্যাট ও বলে দুই দিকেই যেন হতাশার একটি দিন কাটল বাংলাদেশের। সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পরিসংখ্যানটা অন্তত তাই বলে। ৫৭ ওভার বল করেও যে পাকিস্তানের একটি উইকেটও তুলতে পারেনি বাংলাদেশ দল। আগের দিন স্বপ্নের মতো কাটলেও দ্বিতীয় দিনে ডুবতে হয়েছে শুধুই হতাশায়।

শুরুটা হয়েছিল লিটন দাসকে দিয়ে। আগের দিন এত দারুণ শট খেলেছেন, টাইমিং ছিল চোখের জন্য শান্তির। আশা ছিল, দ্বিতীয় দিনেও হয়তো করবেন বড় কিছু। কিন্তু হাসান আলীর বুদ্ধিদ্বীপ্ত বোলিংয়ে তাকে ফিরতে হয়েছে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে। এর আগে ১ ছক্কা ১১ চারে ২৩৩ বলে করেছেন ১১৪ রান।

পরে ওই হতাশা আরও বেড়েছে ৯০-এর ঘরে মুশফিকুর রহিমের আউটে। তিনিও এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রিভিউ নেন তিনি। যদিও আউট হওয়া থেকে বাঁচতে পারেননি। ২২৫ বল খেলে ৯১ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক।

বাংলাদেশের অলআউট হতেও বেশি সময় লাগেনি। ৬৮ বলে ৩৮ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত থাকেন। কিন্তু তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। ৩৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ ওভার উইকেটে কাটান পাকিস্তানের দুই ওপেনার। বাংলাদেশের বোলারদের একরাশ হতাশা উপহার দিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করে সফরকারীরা।

পাকিস্তানের অভিষিক্ত ব্যাটার আবদুল্লাহ শফিকই যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশের বোলারদের বলে কোনো ধার নেই। নখ-দন্তহীন বাঘ। আবদুল্লাহ শফিকের চেয়ে অবশ্য মারমুখী ছিলেন আবিদ আলী।

দুই ওপেনারের ব্যাটে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে দিন শেষ করে পাকিস্তান। বাংলাদেশের চেয়ে আর শুধু ১৮৫ রান পিছিয়ে তারা। কিন্তু সফরকারীদের হাতে আছে ১০ উইকেটই। সন্দেহ নেই কোণঠাসা অবস্থায় ফের বাংলাদেশ দল।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০