ক্রীড়া প্রতিবেদক: তার প্রতিভা নিয়ে কারো সন্দেহ নেই। যে কারণে ২০১৫ সালে জাতীয় দলের জার্সি উঠেছিল লিটন কুমার দাসের গায়ে। দেশের হয়ে ওই বছরই ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই অভিষেক হয়েছিল ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের। কিন্তু কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটেই নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। এক বছর ধরে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও বড় স্কোর গড়তে পারছিলেন না। তাইতো লম্বা সময়জুড়ে তিনি রয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) নতুন মৌসুমের প্রথম রাউন্ডেই তার ব্যাটে দেখা গেল রানের ফোয়ারা। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে গতকাল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে লিটন দাস তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসে লিটনের ২১৯ রানে ভর করে ৩৬৭ রানে গুটিয়েছে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন। এর আগে আবু জায়েদ রাহির বোলিং তোপে শনিবার ২২৪ রানে অলআউট হয়েছিল সেন্ট্রাল জোন। ১৪৩ রান পেছনে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬৫ রান তুলতেই ১ উইকেট হারিয়েছে সেন্ট্রাল জোন। এখনও ৭৮ রানে এগিয়ে ইস্ট জোন।
শনিবার ৬০ রান নিয়ে গতকাল আবারও ব্যাটিংয়ে নামেন লিটন। আগের দিনের মতো গতকালও আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন তিনি। ২৪১ বলে ২৬টি চার আর ৪টি ছক্কায় খেলেছেন ২১৯ রানের দারুণ ইনিংস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার আগের সেরা ইনিংসটি ছিল ১৭৫ রান।
২০১৪-১৫ মৌসুমে ৫টি করে শতক-অর্ধশতকে ১ হাজার ২৩২ রান করেছিলেন লিটন। এরপর হঠাৎ ছন্দপতন। মাঝে ভুগিয়েছে চোটও। সব পেছনে ফেলে গতকাল আবারও এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ডাবল সেঞ্চুরি করে ইঙ্গিত দিলেন ফর্মে ফেরার। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি একমাত্র টেস্ট খেলতে ভারত যাবে বাংলাদেশ। এ সফরের ৩০ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডে রয়েছেন লিটন দাস। ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি দিয়ে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান সামনের সিরিজে দলে জায়গা পাওয়ার দাবিটা জোরালো করলেন।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটের পেছনেও দক্ষ লিটন। গ্লাভস হাতে মুশফিকুর রহিমের উত্তরসূরি ভাবা হয় তাকে। নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক পড়েছিলেন ইনজুরিতে। এরই মধ্যে মাঠে ফেরার ফিটনেস ফিরে পেয়েছেন তিনি। যদিও উইকেটকিপিং করতে আরও একটু সময় লাগতে পারে তার। তাইতো ভারত সফরে এ সুযোগটা নিতেও পারেন লিটন। তবে এ প্রতিযোগিতায় এই ডানহাতির সামনে আরও একটি বাধা নুরুল হাসান সোহান। কেননা, কিউই সফরে মুশির জায়গায় খেলা এই ডানহাতি উইকেটের পেছনেও ব্যাট হাতে সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন।
Add Comment