শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইরানের তেলমন্ত্রী বিজান জাঙ্গানে মনে করেন প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের জন্য ৬০ ডলার (বর্তমান মূল্য) ভালো দর। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে এ দামই বজায় রয়েছে। তাই তেলের এ দরকে ধরে রাখতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্স।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি ফোরামে অংশ নিয়ে গত বুধবার বিজান বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের স্বল্প, দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদের পরিকল্পনা নিয়েই আগানো উচিত। এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোক্তা ও উৎপাদনকারীদের বাজারের ভারসাম্য বজায় রাখাটাই জরুরি। এ জন্য বর্তমানের তেলের দরটাকেই ধরে রাখা উচিত।’
২০১৪ সালের শেষ সময় থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরপতন শুরু হয়। ক্রমাগত দরপতন ঠেকাতে জ্বালানি তেল রফতানিকারক শীর্ষ দেশগুলোর সংগঠন ওপেকভুক্ত দেশগুলো পণ্যটির সম্মিলিত উত্তোলন কমিয়ে আনতে চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, স্বাক্ষরকারী দেশগুলো চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ছয় মাসের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সম্মিলিত দৈনিক উৎপাদন ১৮ লাখ ব্যারেল কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের মজুদ পাঁচ বছরের গড়ের সমপর্যায়ে আসবে বলেও আশা করা হয়। রাশিয়াসহ ওপেকবহির্ভূত ১০টি দেশ এ চুক্তি মেনে পণ্যটির উত্তোলন কমাতে রাজি হয়।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে এর মেয়াদ আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় গত ৩০ নভেম্বর ওপেক সভায় আবারও ৯ মাসের জন্য অর্থাৎ ২০১৮ সালের শেষ সময় পর্যন্ত উত্তোলন হ্রাস চুক্তি মেয়াদ বাড়ানো হয়।
পণ্যটির দর বাড়ানোর দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর তিন বছর পর ব্যারেলপ্রতি ৭১ ডলার ছাড়িয়েছিল। এটিকে ইতিবাচকই মনে করেছিল বিশ্লেষকরা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি উৎপাদনে তেলের দর কমে আবার ৬০ ডলারের কাছাকাছি চলে আসে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পণ্যটির দর ৬০ ডলারের আশেপাশেই ঘুরপাক খাচ্ছে। ইরানের মন্ত্রী মনে করেন তেলের এ দর ভালো। এটাকেই দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখতে হবে। এর জন্য উৎপাদনকারীদের একত্রে কাজ করতে হবে।