ব্যালন ডি’অর জিতে মেসির ইতিহাস

ক্রীড়া ডেস্ক : অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল এবার ব্যালন ডি’অর জিতবেন লিওনেল মেসি। শেষ পর্যন্ত গত পরশু বাংলাদেশ সময় রাতে ব্যাপারটি সত্যি হয়েছে। ভার্জিল ফন ডাইক ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পেছনে ফেলে এ তারকা নিজের করে নিয়েছেন বর্ষসেরার এ পুরস্কার। শুধু তাই নয়, এ নিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবার ব্যালন ডি’অর পুরস্কার ছুঁয়েছেন কিং লিও। তাতেই ইতিহাস গড়েছেন তিনি।

এত দিন সমান পাঁচবার করে পুরস্কারটি জিতেছিলেন মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গত পরশু চিরপ্রতিদ্বন্দ্ব^ীকে পেছনে ফেললেন বার্সেলোনা তারকা। এবার সিআর সেভেন হয়েছেন তৃতীয়। আর ফন ডাইক হয়েছেন দ্বিতীয়।

গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৮ ম্যাচ খেলে মেসি গোল করেন ৫৪টি। শুধু স্প্যানিস ৩৬ গোল করায় এ ফরোয়ার্ড জেতেন লা লিগা ও ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। চ্যাম্পিয়নস লিগেও ১২ গোল করে তিনি গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন। এদিকে আর্জেন্টিনার এ বার্সেলোনার হয়ে জেতেন লিগ শিরোপা। এছাড়া কোপা আমেরিকায় তার দল আর্জেন্টিনা দখল করে তৃতীয় স্থান। সব মিলিয়ে তাই এবার ব্যালন ডি’অরে সবাই এগিয়ে রাখেন কিং লিওকে। শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্যি হয়েছে এবার।

এর আগে ২০০৯ সালে প্রথম বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন মেসি। ফিফার বর্ষসেরা ও ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার শুরুতে আলাদাভাবে দেওয়া হতো। সে বছর দুটিই জিতেছিলেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছয় বছর দুটি পুরস্কার একীভূত হয়ে নাম হয় ফিফা ব্যালন ডি’অর। পরপর তিন বছর ওই পুরস্কার জিতেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এর পরের দু’বছর রোনালদো জেতার পর ২০১৫ সালে আবারও পুরস্কারটি জিতে নেন মেসি, জিতেন ওই সময়ের রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো। গতবার ব্যালন ডি’অর জয়ী লুকা মদ্রিচের কাছ থেকে গত পরশু ফের হারানো ট্রফিটা বুঝে নেন তিনি।

‘ফ্রান্স ফুটবল’ সাময়িকীর দেওয়া বর্ষসেরার এ ট্রফি জয়ের পর মেসি বলেন, ‘এটা আমার ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর। সম্পূর্ণ অন্যরকম মুহূর্ত। আমার স্ত্রী বলে, কখনও স্বপ্ন দেখা থামিও না এবং কঠোর পরিশ্রম ও উপভোগ কর। আমি ভাগ্যবান। আরও অনেক দিন খেলে যেতে চাই। যদিও একদিন অবসর নিতেই হবে। এটা কঠিন হবে।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০