Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 4:37 pm

ব্যাসেল-৩ পরিপালনে ইসলামি ব্যাংকিং

মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা

(গত সংখ্যার পর, চতুর্থ অংশ)

ক্রেডিট/বিনিয়োগ ঝুঁকির মৌলিক উপাদান: ব্যাংক একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আর ব্যবসায়ের সঙ্গে ঝুঁকি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় ঝুঁকি গ্রহণ করা আবশ্যক। সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকি বাদ দেয়ার কোনো সুয়োগ নেই; কারণ ব্যাংক মালিকের মূলধন ছাড়াও জনগণের আমানত নিয়ে তার মোট মূলধন গঠন করে। যেহেতু মালিকের মূলধনের তুলনায় ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত আমানত থাকে, সেহেতু তার ঝুঁকির মাত্রাও ১০ থেকে ২০ গুণ। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান দায়িত্ব হলো জনগণের আমানত রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য উপযুক্ত গাইডলাইন প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী করা। যে দেশের আইনি কাঠামো যত মজবুত সেদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো তত শক্তিশালী। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনি কাঠামোর পাশাপাশি নৈতিক গুণাবলির ভিত্তিতে গড়ে তুলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিটি ব্যাংক আমানতকৃত অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে থাকে, তাই মুনাফার সঙ্গে ঝুঁকি জড়িত। ঝুঁকি হ্রাস করার নিমিত্তে বিনিয়োগের অর্থ সময়মতো পরিশোধ করার সুফল সম্পর্কে আবু হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি মানুষের মাল (ধার) নেয় পরিশোধ করার উদ্দেশ্যে আল্লাহতায়ালা তা আদায়ের ব্যবস্থা করে দেন। আর যে তা নেয় বিনষ্ট করার নিয়তে আল্লাহতায়ালা তাকে ধ্বংস করেন। (বুখারি শরিফ, হাদিস নং ২৩৮৭)

ব্যাংকিং ব্যবসায়ের ঝুঁকি চিহ্নিত, পরিমাপ ও হ্রাস করার জন্য ২০০৩ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ প্রস্তাবগুলোর ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য ঝুঁকি গ্রেড স্কোর কার্ড প্রবর্তনের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৬ সালের ৮ মার্চ বিআরপিডি সার্কুলার নং ৪-এর মাধ্যমে ব্যাংক ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত ঝুঁকিগুলো আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূভাবে মোকাবিলা করার লক্ষ্যে ২০০৩ সালে প্রণীত ক্রেডিট রিস্ক গ্রেডিং ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইনসে  বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশে কার্যরত কিছু তফসিলি ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির পর্যবেক্ষণ ও স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে সংশোধনী আনয়ন করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৫ সালের নভেম্বরে ক্রেডিট রিস্ক গ্রেডিং ম্যানুয়াল জারি করে। ওই ম্যানুয়ালে উল্লিখিত ক্রেডিট/ঋণ বা বিনিয়োগ ঝুঁকির মৌলিক উপাদানগুলোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন ঝুঁকির মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচটি মৌলিক উপাদানের ২৫টি ঝুঁকিভিত্তিক উপাদান নির্ধারণ করা হয়েছে, যাদের মোট মান ১০০ ধরে ঝুঁকির মাত্রার ওপর নির্ভর করে শ্রেণি বিন্যাস করা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ ধারাবাহিকভাবে ঝুঁকিগুলোর মানসহ আলোচনা করা হলো।

(১) আর্থিক ঝুঁকি (ফাইন্যান্সিয়াল রিস্ক) ৫০ শতাংশ:

১.১ লিভারেজ ঝুঁকি (লিভারেজ) ১৫ শতাংশ, ১.২ তারল্য ঝুঁকি (লিকুইডিটি) ১৫ শতাংশ,

১.৩ লাভজনকতা ঝুঁকি (প্রফিট্যাবিলিটি) ১৫ শতাংশ  এবং ১.৪ কভারেজ ঝুঁকি (কভারেজ) ৫ শতাংশ।

(২) ব্যবসায়িক ঝুঁকি (বিজনেস ইন্ডাস্ট্রি রিস্ক) ১৮ শতাংশ:

২.১ ব্যবসার আকার (সাইজ অব বিজনেস) ৫ শতাংশ, ২.২ ব্যবসার বয়স (এজ অব বিজনেস) ৩ শতাংশ, ২.৩ বিজনেস আউটলুক (বিজনেস আউটলুক) ৩ শতাংশ, ২.৪ শিল্প বৃদ্ধি (ইন্ডাস্ট্রি  গ্রোথ ৩ শতাংশ, ২.৫ বাজার প্রতিযোগিতা (মার্কেট কম্পিটিশিন) ২ শতাংশ এবং ২.৬ প্রবেশ বা প্রস্থান বাধা (এন্ট্রি/এক্সিট ব্যারিয়ারস) ২ শতাংশ।

(৩) ব্যবস্থাপনা ঝুঁকি (ম্যানেজমেন্ট রিস্ক) ১২ শতাংশ:

৩.১ অভিজ্ঞতা (এক্সপেরিয়েন্স) ৫ শতাংশ, ৩.২ উত্তরাধিকার (সাকসেশন)  ৪ শতাংশ  এবং

৩.৩ দলবদ্ধভাবে সম্পাদিত কাজ (টিমওয়ার্ক) ৩ শতাংশ।

(৪) নিরাপত্তা ঝুঁকি (সিকিউরিটি রিস্ক) ১০ শতাংশ:

৪.১ সিকিউরিটি কভারেজ (সিকিউরিটি কাভারেজ) coverage ৪ শতাংশ, ৪.২ কুলাটারাল কভারেজ ৪ শতাংশ এবং ৪.৩ সমর্থন ২ শতাংশ।

(৫) পারস্পরিক সম্পর্ক ঝুঁকি ১০ শতাংশ:

৫.১ হিসাব পরিচালনা (Account conduct) ৫ শতাংশ, ৫.২ ইউটিলাইজেশন অব লিমিট (Utilization of limit) ২ শতাংশ, ৫.৩ চুক্তি বা শর্ত মেনে চলা (Compliance of covenants/ condition)  ২ শতাংশ এবং ৫.৪ ব্যক্তিগত আমানত (Personal deposit) ১ শতাংশ।

প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উদ্দেশ্য সাধনে ঝুঁকির প্রভাব রয়েছে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিদ্ধান্তের সঙ্গে ঝুঁকি জড়িত থাকে। ঝুঁকি কীভাবে হ্রাস করা যায় তার কৌশল নির্ধারণ করা প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে মৌলিক দায়িত্ব। ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য প্রথমে ঝুঁকি চিহ্নিত করতে হবে এবং ঝুঁকি পরিমাপ করতে হয়। ঝুঁকি পরিমাপের জন্য ঝুঁকির উৎস ও শ্রেণি খুঁজে বের করা জরুরি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে ক্রেডিট রিস্ক গ্রেডিং ম্যানুয়াল জারি করেন। ঝুঁকিগুলো সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ আলোচনা করা হলো।

(১) আর্থিক ঝুঁকি ৫০ শতাংশ:  আর্থিক ঝুঁকি হলো দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদানের পর তা আদায়ের ক্ষেত্রে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়; প্রতিষ্ঠানের মূলধন কাঠামোয় ঋণ অর্থ ব্যবহারে ফলে উদ্ভূত অনিশ্চয়তা; বহিঃস্থ উৎস থেকে অর্থায়ন করলে; দায় পরিশোধের অক্ষমতা থেকে এবং কারবারে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাকেই আর্থিক ঝুঁকি বলে। আর্থিক ঝুঁকির কারণে কোম্পানির দ্রুত বিলোপসাধন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর্থিক ঝুঁকি বিনিয়োগকারীকে বহন করতে হলে মালিক ও কর্মচারীদের ব্যবসায়িক ঝুঁকি বহন করতে হয়। যে প্রতিষ্ঠানের ঋণ-মূলধন বেশি, সে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ঝুঁকি বেশি। সরকার করের হার বৃদ্ধি করলে ব্যবসায়ীদের বেশি করে কর দিতে হয়, ফলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ঝুঁকির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। মূলধন কাঠামো পরিবর্তন করে আর্থিক ঝুঁকি পরিহার করা যায়। প্রতিষ্ঠানের মূলধন কাঠামোতে ঋণ করা মূলধন বেশি থাকলে আর্থিক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। ব্যাংকের আর্থিক ঝুঁকিগুলো বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংকগুলোর জন্য আর্থিক ঝুঁকিকে চারটি ভাগে ভাগ করেছেন এবং তাদের মান নির্ধারণ করেছেন। সেগুলো হলো

১.১ লিভারেজ ঝুঁকি ১৫ শতাংশ:  সাধারণভাবে লিভারেজ মানেই অন্যের পরিবর্তে একটি চলকের প্রভাব। আর্থিক ব্যবস্থাপনায় লিভারেজ খুব আলাদা নয়, এর অর্থ একটি উপাদানের পরিবর্তন ও লাভের পরিবর্তন। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অত্যধিক অন-এবং অফ ব্যালেন্স লিভারেজ পরিহার করার জন্য একটি সহজ, স্বচ্ছ, অঝুঁকিভিত্তিক লিভারেজ অনুপাত চালু করা হয়েছে। লিভারেজ অনুপাত ঝুঁকিভিত্তিক মূলধনের প্রয়োজনীয়তাগুলোর একটি বিশ্বাসযোগ্য সম্পূরক পরিমাপ হিসেবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ‘গাইডলাইসস অন রিস্ক বেসড ক্যাপিটাল অ্যাডেকোয়েস’ ২০১৪ সালে বিআরপিডি সার্কুলার নং- ১৮ জারি করে। উক্ত সার্কুলার বাস্তবায়নের জন্য লিভারেজ-সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৮, ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট জারি করে। সে আলোকে উক্ত গাইডলাইন্সের ৪নং অনুচ্ছেদের মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে এবং ব্যাংকের মূলধন ও দায়ের মধ্যে যথাযথ ভারসাম্য রক্ষার্থে ব্যাসেল-৩ কাঠামোর আলোকে ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততার পাশাপাশি তফসিলি ব্যাংকসমূহকে ২০১৫ সাল থেকে ন্যূনতম শতকরা ৩ শতাংশ লিভারেজ অনুপাত সংরক্ষণ করার নির্দেশনা করার প্রদান করা হয়। উক্ত গাইডলাইন্সের ৪.৪ নং অনুচ্ছেদে ২০১৭ সাল হতে উক্ত লিভারেজ অনুপাত পুনবির্ন্যাস করার পরিকল্পনার বিষয় উল্লেখ করা হয়। ব্যাসেল-৩ কাঠামো অনুযায়ী ব্যাংকের মোট টিয়ার-১ মূলধন ও মোট সম্পদের অনুপাতকে লিভারেজ অনুপাত বলা হয়। ২০১৯ সাল থেকে দেশের ব্যাংকিং খাতে সম্পূর্ণরুপে ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়ন করা হলেও ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততার ন্যায় ব্যাংকের লিভারেজ অনুপাত তুলনামূলকভাবে কাম্যস্তরে বৃদ্ধি পায়নি। লিভারেজ অনুপাত কাক্সিক্ষত পর্যায়ে উন্নীতকরণের মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে তফসিলি ব্যাংকসমূহের আমদানি ব্যয় হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি সামগ্রিক আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। অধিকন্তু, লিভারেজ অনুপাত বৃদ্ধি পেলে ব্যাংকের গুনগত মূলধন বৃদ্ধি পাবে; যার ফলে অপ্রত্যাশিত ক্ষতির বিপরীতে ব্যাংকের ঝুঁকি সহনশীলতাও বৃদ্ধি পাবে। আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য লিভারেজ অনুপাত ২০২৩ সাল থেকে বার্ষিক ০.২৫ শতাংশ হারে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধিপূর্বক বিদ্যমান ৩ শতাংশের স্থলে ২০২৬ সালের মধ্যে ৪ শতাংশে উন্নীত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সে হিসাবে ২০২৩ সালে ৩.২৫ শতাংশ, ২০২৪ সালে ৩.৫০ শতাংশ, ২০২৫ সালে ৩.৭৫ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ৪.০০ শতাংশ লিভারেজ অনুপাত সংরক্ষণ করতে হবে।

১.২ তারল্য ঝুঁকি ১৫ শতাংশ: কোনো একটি সম্পদ সহজে নগদ টাকায় রূপান্তর করতে না পারার সম্ভাবনাই হচ্ছে তারল্য ঝুঁকি। যে বাজারে শেয়ার, বন্ড এবং ডিবেঞ্চার ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় হয় সে বাজারের আকার ও কাঠামোর ওপর তারল্য ঝুঁকির নির্ভর করে। বিনিয়োগ (সম্পত্তি) বিক্রয় করার অনিশ্চয়তা থেকে তারল্য ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। যে কোনো সম্পত্তিই বিক্রয় করা যায়; তবে সেক্ষেত্রে অনেক সময় বাট্টা দিতে হয়। তবে সম্পত্তি বিক্রি করতে যত বেশি বাট্টা দিতে হবে, তত বেশি তারল্য ঝুঁকি হবে। সে জন্য বাজারের আকার ও প্রকৃতির ওপর তারল্য ঝুঁকি নির্ভর করে। ব্যাংকের তারল্য ঝুঁকি বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো, খেলাপি ঋণ বা বিনিয়োগ বৃদ্ধি। তারল্য ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য রিয়েল সেক্টর ও উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করা।

১.৩ লাভজনকতা ঝুঁকি ১৫ শতাংশ:  লাভজনকতা ঝুঁকি হলো ব্যাংকের প্রত্যাশিত লাভের তুলনায় প্রকৃত লাভ যদি কম বা বেশি হয় তাহলে লাভজনকতা ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। এই ঝুঁকির প্রধান উপাদন হলো বিনিয়োগ। বিনিয়োগকৃত মূলধন যদি প্রত্যাশিত লাভসহ যথাসময়ে ফেরত পাওয়ার অনিশ্চয়তা যত বেশি হবে লাভজনকতার ঝুঁকি তত বেশি হবে। সুতরাং লাভজনকতা ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য বিনিয়োগ আয় ও অন্যান্য পরিচালন আয় বৃদ্ধি ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

১.৪ কভারেজ ঝুঁকি ৫ শতাংশ: কভারেজ হলো ব্যাংকের ঋণ বা বিনিয়োগ পরিষেবা এবং তার আর্থিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করার ক্ষমতার একটি পরিমাপ। কভারেজ যত বেশি হবে, তার ঋণ বা বিনিয়োগের সুদ বা লভ্যাংশ প্রদান করা তত সহজ হবে। ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের কভারেজ অনুপাতের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কভারেজ ঝুঁকি চিহ্নিত, পরিমাপ ও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। (চলবে)

অফিসার

ইসলামি ব্যাংকিং ডিভিশন

ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড