আমানুর রহমান খোকন, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত এক মাসে কয়েক দফায় ডানতীর রক্ষা প্রকল্প বাঁধের ৪০০ মিটার বিলীন হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের মুখে পড়েছে চিলমারী। বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের নামে।
জানা যায়, পাউবোর নি¤œমানের কাজ করায় প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের আগেই তা ধসে গিয়ে ওই এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। কাঁচকোল উত্তর ওয়ারী এলাকায় মাসুদ অ্যান্ড কোং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ১৮০৫৬ নম্বর সাইডের পাউবো বাঁধে ৪৫ মিটার জায়গা, কাচকোল দ. ওয়ারী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নজরুল ইসলামের বাড়িসংলগ্ন সুশেন চন্দ্রের (রূপান্তর জেভি) ঠিকাদারের ডবিøউ ৪-২/২ নম্বর সাইডের ৬৫ মিটার এলাকা, ওই এলাকার খন্দকার শাহিন আহমেদের ১৮০৪৯ নম্বর সাইডের বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার এলাকা ধসে নদীতে বিলিন হয়ে যায়। কাচকোল দ. খামার এলাকায় সুশেন চন্দ্রের (রূপান্তর জেভি) ঠিকাদারের ডবিøউ ৪-২/২ নম্বর (আইডি-১৮০৪১) সাইডের ১০০ মিটার এলাকা, কাঁচকোল দক্ষিণ খামার মাঝিপাড়া এলাকায় ফরহাদ হোসেন ঠিকাদারের ডবিøউ ৪-১/২ নম্বর সাইডের প্রায় ১৩০ মিটার বাঁধের বøক ধসে বিলিন হয়ে যায়। এ নিয়ে দুই মাসের ব্যবধানে ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার বøক ধসে বিলিন হয়ে যায়।
এতে উপজেলা রক্ষার গোটা বাঁধ হুমকির মুখে পড়ায় প্রকল্পের উদ্দেশ ভেস্তে যেতে বসেছে। একের পর এক জায়গায় ধসের সৃষ্টি হওয়ায় নি¤œমানের কাজকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী। ধসে যাওয়া কাঁচকোল দক্ষিণ খামার মাঝিপাড়া এলাকার রাকিবুল ইসলাম, রঘুনাথ, ফিরোজ, নুর আমিন, কার্তিক চন্দ্র, এন বাবু, সুভাস চন্দ্রসহ উপস্থিত অনেকে জানান, চিলমারী রক্ষার বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সিসি বøক তৈরি এবং জিও টেক্সটাইল ফিল্টার ও বøক স্থাপনে কোনো ধরনের নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। বøক ডাম্পিং এবং গাইড ওয়ালে প্রয়োজনীয়-সংখ্যক বøক না থাকায় কাজ শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন জায়গায় ধসের সৃষ্টি হচ্ছে। কাজ শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন জায়গায় বøক ও পিচিং ধসে যাওয়ার ঘটনায় চরমভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীতীরবর্তী মানুষ।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানান, কাজে কোনো অনিয়ম করা হয়নি। ৪০০ মিটার নয় ১৫০ মিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, তা মেরামত করা হচ্ছে।