শেয়ার বিজ ডেস্ক: ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাত, বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৬। খবর: আল জাজিরা।
পেরনামবুকো রাজ্যের রেসিফে শহরের আশপাশের দরিদ্র এলাকায় ভ‚মিধসের পর পুরো এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানান, কমপক্ষে ১৪ জন এখনও নিখোঁজ। এর আগের দিন সোমবার দুর্যোগকবলিত এলাকায় যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সাধ্যমতো সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
দক্ষিণাঞ্চলীয় বাহিয়া ও মিনাস জেরাইস রাজ্যের পর্বতগুলোয় সাম্প্রতিক দুর্যোগের প্রসঙ্গ টেনে বলসোনারো বলেন, গত বছর এসব এলাকায় বন্যা ও ভারী বৃষ্টির কারণে কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে হাজারো মানুষ। দুর্ভাগ্যক্রমে মহাদেশসম আয়তনের একটি দেশে এসব দুর্যোগ হচ্ছে। অবশ্যই আমরা সবাই দুঃখভারাক্রান্ত। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। আমাদের বড় লক্ষ্য হলো পরিবারগুলোকে সান্ত¡না দেয়া ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানো।
বলসোনারো ঘোষণা করেছেন, ভুক্তভোগীদের সহযোগিতার জন্য ২১ কোটি ডলারের পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেবে তার সরকার। পেরনামবুকো রাজ্যের আরও কয়েকটি পৌরসভায় নতুন করে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলে জরুরি পরিস্থিতিতে রাখা পৌরসভার সংখ্যা ২৪ হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় ৬ হাজার ২০০ মানুষ বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক আন্তসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) রেসিফে শহরকে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নগর এলাকাগুলোর একটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় দেশটিতে মারাত্মক আবহাওয়া বিপর্যয়ের ধারাবাহিক পরিস্থিতির এটি সর্বশেষ ঘটনা। এর আগে চলতি বছর ফেব্রæয়ারিতে ব্রাজিলে বন্যা ও ভ‚মিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৬ জনে। তখন ভয়াবহ বন্যা ও ভ‚মিধসের পেট্রোপলিস শহরে বৈরি আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হয় উদ্ধারকাজ। বাড়িঘর ছেড়ে স্থানীয় স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয় ৯ শতাধিক মানুষকে। এতে পাহাড়ি এলাকার অন্তত ৮০টি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়।