শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টির পর ভূমিধস হয়েছে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর বেইক্সাজাদা ফ্লুমিনেসি ও দক্ষিণের উপকূলীয় কয়েকটি শহরে। এতে প্রাণহানি হয়েছে অন্তত ১৪ জনের। খবর: রয়টার্স।
স্থানীয় সরকার ও রিও ডি জেনিরোর রাজ্য সরকারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, লোকজন প্রতিনিয়ত উদ্ধারকর্মীদের ফোন করছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৮৫০ কল ধরা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ১৪৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া চলছে রিও ডি জেনিরোয়। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে আটলান্টিক উপকূলের বিস্তৃত অংশে ঝড় আঘাত হানার পর একাধিক ভূমিধসের ঘটনায় এই প্রাণহানি হয়েছে। পর্যটন শহর পারাটিতে ভূমিধসে পাঁচ সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়র লুসিয়ানো ভিদাল বলেন, ৭০টির বেশি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এসব মানুষকে আশ্রয় ও থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে।
পারাটির মেয়র আরও বলেন, ভূমিধসে সব সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের কিছু এলাকা এখন জনবিচ্ছিন্ন। আর পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এক দিনে পারাটিতে ৩২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এক দিনে ছয় মাসের সমান বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত সাতজনের মৃত্যুর কথা জানান মেয়র।
দুই দিন ধরে রিও ডি জেনিরো রাজ্যে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। গত শুক্রবার রাতে তুমুল ঝড়ের কারণে জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। এতে শহরের অনেক রাস্তা তলিয়ে তীব্র স্রোতে অনেকের ব্যক্তিগত গাড়ি ভেসে গেছে। পাহাড়ি এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসে সেখানকার দরিদ্র অধিবাসীরা প্রতিবছর এ ধরনের দুরবস্থার শিকার হন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সামনের দিনগুলোয় শহরটিতে আরও বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের এ গন্তব্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। পর্যটকপ্রিয় কাছাকাছি আংরে দস রেইসও ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। সেখানে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রাজ্য কর্তৃপক্ষের হিসাবে দেখানো হয়েছে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ভূমিধস ও বন্যায় রিও ডি জেনিরোর পেট্রোপলিসে প্রায় ২৪০ জনের মৃত্যু হয়। তবে ওই সময় বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যুর কথা জানানো হয়নি। গত ২৩ মার্চ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পেট্রোপলিসে বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির কথা জানায়।