ক্রীড়া প্রতিবেদক: বল হাতে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ব্যাটিংয়ের লাগামটা টেনে ধরেন আসিফ হাসান ও মোহাম্মদ শহীদ। পরে ব্যাট হাতে দারুণ এক ইনিংস খেলে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা আবদুল মজিদ। তাতে চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনী লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে সুপার সিক্সে ওঠা নিশ্চিত করেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে বল হাতে শুরু থেকেই ব্রাদার্সকে বড় পরীক্ষা নিতে থাকেন রূপগঞ্জের বোলাররা। যে কারণে দলটি এগোতে পারেনি বেশিদূর। ৪৮.১ ওভারে মাত্র ১৭৮ রানে যায় গুটিয়ে। রূপগঞ্জের মোহাম্মদ শহীদ ৪১ রানে ও আসিফ হাসান ২৩ রানে নেন ৪টি করে উইকেট। সহজ লক্ষ্যে পৌঁছাতে লিজেন্ডসদের লাগে মাত্র ৩৭.৩ ওভার। হারাতে হয় মাত্র ৩টি উইকেট। দলটির সহজ জয়ে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন আবদুল মজিদ। ডানহাতি এ ওপেনার ১১০ বলে ৫ চার ও ৭ ছয়ে অপরাজিত থাকেন ৯৪ রানে।
এই জয়ে পয়েন্টের দিক থেকে আবাহনীকে ছুঁয়ে ফেলল রূপগঞ্জ। দুই দলেরই পয়েন্ট ১০ ম্যাচে ১৪। তবে রান রেটে পিছিয়ে নাঈম ইসলামের দল।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করেন মজিদ। যদিও ইনিংসের শুরুতেই সতীর্থ সালাউদ্দিন পাপ্পুকে হারান তিনি। তবে সেই ক্ষতি দ্বিতীয় উইকেটে এ ডানহাতি পুষিয়ে দেন মোহাম্মদ নাইমের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি বেঁধে, যেখানে নাইমের অবদান ছিল ৩২ রান।
ইনিংসের ২৩তম ওভারের তৃতীয় বলে নাইম রান আউটে কাটা পড়েন। তবে একপ্রান্তে আগলে রেখে অধিনায়ক নাঈম ইসলামের সঙ্গে আরও একটি বড় জুটি গড়ে দলকে নিয়ে জয়ের পথে এগোতে থাকেন মজিদ। এর মধ্যে এ ডানহাতি ৮০ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ে পূর্ণ করেন চলতি ডিপিএলে পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি।
জয় থেকে ৩০ রান দূরে থাকার সময়ে শাখাওয়াত হোসেনের বলে বাজে শটে ৩৬ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে নাঈম ইসলাম ফিরে যান সাজঘরে। কিন্তু তাতে লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনোরকম বেগ পেতে হয়নি রূপগঞ্জের। জয়ের বাকি কাজটা মজিদ সারেন পারভেজ রসুলকে নিয়ে।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে বোলিংয়ের শুরুটা ভালো ছিল না রূপগঞ্জের। সেই সুযোগে ব্রাদার্সের দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিকি ১৩.১ ওভারে দলীয় স্কোর বোর্ডে এনে দেন ৭৭ রান। পরে ১৭ রানের ব্যবধানে এ দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান আসিফ হাসান। পরে এ স্পিনারকে দারুণ সঙ্গ দেন মোহাম্মদ শহীদ। যে কারণে দেবব্রত দাস ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান পারেননি নামের প্রতি সুবিচার করতে। ব্রাদার্স শেষ ২৮ রানে হারায় ৭ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৪৮.১ ওভারে ১?৭৮ (মিজানুর ৬৩, জুনায়েদ ২৬, মাইশুকুর ১২, দেবব্রত ৩১, কাপালী ২০, ইয়াসির ১৪, শুভ ০, সাজ্জাদ ১, রনি ০, শাখাওয়াত ১, খালেদ ১; শহীদ ৪/৪১, রসুল ২/৩১, মোশাররফ ০/৩৯, আসিফ ৪/২৩, রাসেল ০/৩৬)
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৩৭.৩ ওভারে ১৮৩/৩ (পাপ্পু ৮, মজিদ ৯৪*, নাইম ৩২, নাঈম ৩৬, রসুল ৭*; শুভ ১/৪১, খালেদ ০/২৯, সাজ্জাদ ০/৪৬, শাখাওয়াত ১/২৯, কাপালী ০/২৯, রনি ০/৭)
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: আসিফ হাসান