Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 1:08 pm

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ, ভারত ফেরত ৬ জন অন্তরণে

প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার এক উপজেলা থেকেই পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ঢাকায় পাঠানো নমুনা পরীক্ষান্তে প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত তাদের সবাইকে গৃহ অন্তরণে (হোম কোয়ারেন্টাইন) থাকতে বলা হয়েছে। অপরদিকে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরা ছয়জনকে রাখা হয়েছে অন্তরণে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার নাসিরনগর উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারা উপজেলা সদর, ভলাকুট ও চাতলপাড় ইউনিয়নের বাসিন্দা। মেডিক্যাল টিম তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেছে।

পরীক্ষার প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত তাদেরকে গৃহ অন্তরণে (হোম কোয়ারেন্টাইন) থাকার জন্য বলা হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্তে সন্ধিগ্ধ একজন প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বাড়ি ফেরেন। আরেকজন পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা এলাকায় ইটখলায় (ব্রিকস ফিল্ড) কাজ করেন।

সঙ্গত কারণেই তিনিসহ তার স্ত্রী ও এক সন্তানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া আরেকজন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন সেন্টারে এনে নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় নিশ্চিত করেছেন।

নাসিরনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা আশরাফী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত বলা যাবে না।’ তবে এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি।

এ বিষয়ে আরো সবিস্তার খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’ এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফেরা ছয় বাংলাদেশীকে অন্তরণে রাখা হয়েছে। ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে ভারতীয় ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশে আসার পর ছয়জনকে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন গ্রহণ করেই বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রস্তুতকৃত অন্তরীণে (কোয়ারেন্টাইন) রাখার ব্যবস্থা করা হয়।

পর্যায়ক্রমে আগামী দু-একদিনের মধ্যে আরো দেড়শ’ নাগরিক দেশে আসবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন। বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহের নিগার জানান, ‘এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত ১৫০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’