শেয়ার বিজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে চলছে উদীয়মান অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের ১৫তম সম্মেলন। প্রথম দিন জোটের সম্প্রসারণের বৃদ্ধির ডাক দিয়ে শি জিনপিং বলেছেন, যেকোনো বাধা আসুক না কেনো ব্রিকসের পরিধি বাড়তে থাকবে। আমরা ব্রিকসকে একটি শক্তিশালী জোটে পরিণত করব, সদস্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে কাজ করব, আন্তর্জাতিক আইনকে আরও ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত করতে সহায়তা করব। খবর: আল জাজিরা।
সম্মেলনের শুরুতে শি জিনপিংয়ের বক্তব্য পড়ে শোনান দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়েং ওয়েনতা। এতে শি বলেছেন, ন্যায়সঙ্গত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদীয়মান অর্থনীতির ব্রিকস জোটের সম্প্রসারণ জরুরি।
তিনি আরও বলেন, চীনের ডিএনএ-তে আধিপত্যবাদ নেই। চীন ইতিহাসের সঠিক পক্ষে রয়েছে।
তিনি বলেছেন, জোহানেসবার্গে যে সম্মেলন হচ্ছে সেখানে কোনো দেশকে পক্ষ নিতে বলা হচ্ছে না অথবা বিরোধিতা করার জন্য কোনো জোট তৈরি করা হচ্ছে না। এর বদলে এই সম্মেলনে শান্তি ও উন্নয়নের অবকাঠামো বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।
সম্মেলনে সশরীরে বক্তব্য দেননি শি জিনপিং। তার কারণ অস্পষ্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা ও চীনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে নীরব রয়েছে। গত সোমবার শি জোহানেসবার্গে পৌঁছালে স্বাগতম জানান প্রেসিডেন্ট রামফোসা। তবে জোটের দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
সামাজিক মাধ্যমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা বলেছেন, আমরা শুধু জোটকে সংগঠিত করতে চাই।
বাংলাদেশ, ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্জেন্টিনা, আলজেরিয়া, বলিভিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, ইথিওপিয়া, কিউবা, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, কমোরোস, গ্যাবন ও কাজাখস্তানসহ ৪০টির বেশি দেশ এই ফোরামে যোগ দিতে আগ্রহী।
চীন ব্রিকসের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। চীনের প্রেসিডেন্ট ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে এ বছর মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো বিদেশ সফর করেছেন। দেশটি ব্রিকসের পরিধি বাড়াতে এ বছর বেশ তৎপরতা দেখাচ্ছে। এর মধ্যেই জোটটির সম্মেলনে স্বশরীরে যোগ দিয়েছেন শি।