Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 10:46 pm

ব্রিটনি স্পিয়ার্স

ব্রিটনি স্পিয়ার্সের পুরো নাম ব্রিটনি জিন স্পিয়ার্স। তার জš§ ১৯৮১ সালের ২ ডিসেম্বর। যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিতে জš§গ্রহণ করলেও তিনি বেড়ে উঠেন লুইজিয়ানায়। ব্রিটনি স্পিয়ারর্স একই সঙ্গে সংগীত, নৃত্য ও অভিনয়শিল্পী। তাকে ‘প্রিন্সেস অব পপ’ বলা হয়। নব্বইয়ের দশকে তিনি পপকে পুনর্জš§ দান করেন। সংগীতশিল্পী হিসেবে জীবন শুরু করার আগে শৈশবে মঞ্চনাটক ও টিভি শোতে অভিনয় করেন। ১৯৯৭ সালে প্রথম জিব রেকর্ডের সঙ্গে তার সংগীত জীবনের সূচনা। তার প্রথম দুটি অ্যালবাম ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’ ও ‘ওপস… আই ডিড ইট অ্যাগেইন’। এই অ্যালবাম দুটি তাকে বিশ্বসংগীত জগতে পরিচিতি এনে দেয়। প্রথম অ্যালবামটি টিন-এজ একক শিল্পীর বেস্ট সেলার অ্যালবামের স্বীকৃতি লাভ করে। আবার এই অ্যালবাম দুটির টাইটেল গান বেস্ট সেলারের বিশ্বরেকর্ড গড়ে। ২০০১ সালে তিনি তৃতীয় অ্যালবাম বের করেন ‘ব্রিটনি’ নামে। একই বছর ব্রিটনি ‘ক্রসরোড’ সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন। তার চতুর্থ অ্যালবাম ‘ইন দ্যা জোন’ বিশ্বকে আবার চমকে দেয় এবং এই অ্যালবামের ‘টক্সিক’ গানটি সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়।

২০০৭ সালে কিছু ব্যক্তিগত সমস্যায় জড়িয়ে তিনি সমালোচিত হন। পরের বছরই তার পঞ্চম অ্যালবাম ‘ব্ল্যাকআউট’ বের হয়। তার স্বেচ্ছাচারী আচরণের কারণে তাকে ওই বছর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় এবং তার জন্য একজন তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করা হয়। ২০০৮ সালে তার ষষ্ঠ অ্যালবাম ‘সার্কাস’ বের হয়। এই অ্যালবামের ‘ওমেনাইজার’ গানটি বিশ্বে সেরার তালিকাভুক্ত হয়। ২০১১ সালে স্পিয়ার্সের সপ্তম অ্যালবাম বের হয়। এর প্রথম তিনটি গান ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেরা দশ গানের তালিকায় স্থান পায় ।

২০১৩ সালে তার অষ্টম অ্যালবাম বের হয়। তার নবম অ্যালবাম ‘গ্লোরি’ রিলিজ হয় ২০১৬ সালে। স্পিয়ার্স সবসময় বেস্ট সেলিং টিন-এজ সংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাত।

সংগীতজীবনে তিনি বহু পুরস্কার অর্জন করেন ব্রিটনি। তার মধ্যে গ্ল্যামি অ্যাওয়ার্ড, আজীবন সম্মাননাসহ ষষ্ঠ এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস, বিনোদনবিষয়ক বিশ্ববিখ্যাত পত্রিকা ‘বিলবোর্ড’ প্রদত্ত ‘বিলবোর্ড মিলেনিয়াম অ্যাওয়ার্ড’ অন্যতম। ‘বিলবোর্ড’ ২০০৯ সালে তাকে দশ বছরের সেরা অষ্টম সংগীতশিল্পী হিসেবে ও ‘রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা’ কোম্পানিটি তাকে আমেরিকার সেরা অষ্টম বেস্ট সেলার নারীশিল্পীর স্বীকৃতি দেয়। বিলবোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী সংগীতে স্পিয়ার্স সবচেয়ে আবেদনময়ী গায়িকা ও ফোর্বসের ২০১২ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী স্পিয়ার্স সবচেয়ে দামি নারী সংগীতশিল্পী।