Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 8:07 pm

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ টাকা ১১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ৩৩ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ মার্চ।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির ২ হাজার ১৯৬টি শেয়ার মোট ৬৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।

বিএটিবিসি ১৯৭৭ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনও একই। রিজার্ভে রয়েছে ৩ হাজার ৫৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৪ কোটি। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার, ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বাকি ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

এর আগে সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে বিএটিবিসির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ২৭ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৭৬ টাকা ২৭ পয়সায়, আগের হিসাববছর শেষে যা ছিল ৬৮ টাকা ১৩ পয়সায়। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের মোট ২৭৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে ১৫০ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত ও বাকি ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০০ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ দিয়েছিল বিএটিবিসি। এর মধ্যে ৩০০ শতাংশ নগদ ও ২০০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এর আগে আলোচ্য হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সব মিলিয়ে ওই হিসাববছরের জন্য ৮০০ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।