শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিডের লকডাউন চলাকালীন পার্টি আয়োজনের ঘটনায় ঘরে-বাইরে চাপের মুখে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের চার জ্যেষ্ঠ সহকারী পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জনসনের কার্যালয়ের কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর জ্যাক ডয়েল, হেড অব পলিসি মুনিরা মির্জা, চিফ অব স্টাফ ড্যান রোজেনফিল্ড ও সরকারের জ্যেষ্ঠ আমলা মার্টিন রেনল্ডস পদত্যাগ করেন। খবর: বিবিসি।
বরিস জনসনের নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিও মধ্যেও প্রশ্ন বাড়ছে। এ অবস্থায় তার চার কর্মকর্তা পদত্যাগ করলেন।
ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, চিফ অব স্টাফ রোজেনফিল্ড বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে পদত্যাগের কথা জানান। তবে নতুন কেউ দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন। বরিসের প্রধান ব্যক্তিগত সচিবের দায়িত্ব পালন করে আসা রেনল্ডসও একই কাজ করবেন। তবে দায়িত্ব ছাড়ার পর তিনি ফরেন অফিসে আগের দায়িত্বে ফিরতে পারবেন।
হেড অব পলিসি মুনিরা মির্জা অবশ্য পদত্যাগ করেছেন অন্য কারণ দেখিয়ে। লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী জনসন ‘মিথ্যা অভিযোগ’ তুলেছেন বলে মির্জার ভাষ্য।
পরপর গুরুত্বপূর্ণ চার শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন লেবার পার্টির উপনেতা অ্যাঞ্জেলা রাইনার। জনসনের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা এবং সহকারীরা যখন ছেড়ে যাচ্ছেন, সম্ভবত এটাই আয়নার দিকে তাকানোর উপযুক্ত সময়। জনসন নিজেই সমস্যার মূল কি না, তা বিবেচনা করার সময় এসেছে।
কনজারভেটিভ পার্টির ইতিহাসে ৩০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় জয় নিয়ে ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসেন বরিস জনসন। ২০২০ সালের মে মাসে সারা দেশে লকডাউনের মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে মদের পার্টি আয়োজন হয়, যা ফাঁস হলে গত বছরের শেষ দিকে তুমুল সমালোচনায় পড়েন তিনি।
পার্টি নিয়ে জনসন নানা ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করেননি বলেও দাবি করেছিলেন। আবার জনগণের কাছে তার ক্ষমাও চেয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও চাপের মুখে জনসনের দল কনজারভেটিভ পার্টির বেশ কয়েকজন এমপিও তার পদত্যাগ দাবি করেন। তারা দলের প্রধানের কাছে জনসনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে চিঠিও দেন।
বিষয়গুলো নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে এমপিদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মুখোমুখি হন জনসন। সেখানে লকডাউনের মধ্যে পার্টি করা নিয়ে তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়। জনসন সেদিন পার্লামেন্টকে বলেন, ‘কোনো নিয়মই ভঙ্গ হয়নি’।