শেয়ার বিজ ডেস্ক: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারচুপি করে সব ব্যালট পেপার পালটে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি যোগাযোগ দপ্তর। এই ঘটনার জেরে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানায় দপ্তর। খবর: দ্য টেলিগ্রাফ।
গত সোমবার থেকে পোস্টাল ব্যালট জারি হওয়ার কথা ছিল। গোপন কোড থাকা এই ব্যালটের মাধ্যমে দেশজুড়ে প্রায় এক লাখ ৬০ টরি সদস্য (কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবেন। কিন্তু হ্যাকাররা হানা দিতে পারে বলে আশঙ্কা থাকায় আপাতত ব্যালট পেপার বিতরণ আটকে দেয়া হয়েছে। ফলে ১১ আগস্টের আগে ভোটদাতাদের হাতে ব্যালট পেপার পৌঁছাবে না বলে মনে করা হচ্ছে। এ কারণে ৫ সেপ্টেম্বর ফল ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যেতে পারে।
ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার’ সতর্কবার্তা দিয়েছে, ব্যালটগুলোর কোডের সঙ্গে কারচুপি করে জনমত পালটে ফেলতে পারে হ্যাকাররা। ব্যালটগুলোয় আরও কিছু সিকিউরিটি ফিচার যুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, দলীয় বিদ্রোহে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন বরিস জনসন। তাই কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী প্রধান ও দেশের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়াই চলছে। টরি সংসদ সদস্যদের ভোটে আপাতত লড়াইয়ের শেষ পর্বে পৌঁছেছেন দেশটির ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাবেক অর্থসচিব ঋষি সুনাক ও বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস।
সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, দলের সদস্যদের ভোটাভুটিতে অনেকটা এগিয়ে ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাস। আবার জনসনেরও পছন্দের প্রার্থী ট্রাস। ভোটাভুটিতে যে এ বিষয়টি অনেকটাই প্রভাব ফেলবে, তা নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রচার কার্যক্রম বাড়িয়েছেন ট্রাস। তিনি নিজেকে তুলনা করছেন প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে। যদিও একসময় তাকে থ্যাচারের বিরোধিতা করতে দেখা গেছে। কিন্তু এবার থ্যাচারের ‘ছায়া’ হয়েই ব্রিটেনের মসনদ দখলে মরিয়া ট্রাস। সম্প্রতি তাকে পূর্ব ইউরোপে একটি ট্যাংকে ‘পোজ’ দিয়ে ছবি তুলতে দেখা গেছে। ঠিক এ ধরনের ছবি তুলেছিলেন থ্যাচারও।