বার্মিংহামে শিল্পমন্ত্রী

ব্রিটিশ বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ব্রিটিশ বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের উদীয়মান শিল্প খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিল্প খাতে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, গভীর সমুদ্রবন্দর ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসহ ব্যাপকহারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
যুক্তরাজ্য সফররত শিল্পমন্ত্রী গতকাল বার্মিংহামের নিউবিংলে হল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘তৃতীয় ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের সংগঠন ‘দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে’ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। গতকাল ঢাকায় পাওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সিটি মেয়র, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যসহ যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ সহস্রাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে বিনিয়োগবান্ধব সরকার হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকারের নীতি সহায়তার ফলে দেশের শিল্প খাত ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ রিসাইক্লিং, ওষুধ, প্লাস্টিক, সিরামিক, বাইসাইকেল ও সফ্টওয়্যার উন্নয়ন শিল্প এরই মধ্যে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় শিল্পে পরিণত হয়েছে। বেসরকারি খাত বিকাশের পাশাপাশি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানা লাভজনক করতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলে তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাত বিকাশের পাশাপাশি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানার উন্নয়নেও কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকারি খাতে চিনিকল, সার, নিউজপ্রিন্ট, সিমেন্ট, গ্লাস, স্টিল, কেব্ল, মোটরসাইকেল ও গাড়ি সংযোজন, ডিস্টিলারিসহ বেশকিছু শিল্পকারখানা পরিচালিত হচ্ছে। এসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণের জন্য আধুনিকায়ন ও অটোমেশন জরুরি। ব্রিটিশ বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের এসব কারখানায় যৌথ কিংবা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। এক্ষেত্রে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিভিন্ন অর্জন এবং ব্রিটিশ অর্থনীতিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালে এ পুরস্কার চালু করা হয়। দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে নিয়মিত এর আয়োজন করে আসছে। এ বছর তৃতীয়বারের মতো এ পুরস্কার দেওয়া হলো। এ ধরনের ব্যবসায়িক অনুষ্ঠান আয়োজনের ফলে যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের অবদান জোরদার হবে। এটি যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শিল্পমন্ত্রী ৯ অক্টোবর লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তার ১৩ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০