শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আগামী মার্চে চূড়ান্তভাবে বেরিয়ে যাবে ব্রিটেন। এতে ব্রিটেনের কয়েক হাজার চাকরি ইউরোপের অন্যত্র চলে যাবে। আর্থিক খাতের পাঁচ হাজার কর্মসংস্থান হারানোর আশঙ্কা করছে ব্রিটেন সরকার। খবর বিবিসি।
ব্রিটেনের শহরমন্ত্রী জন গ্রেন স্বীকার করেছেন, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জরিপ চালিয়ে দেখেছে, ব্রেক্সিটের কারণে আগামী মার্চের মধ্যে আর্থিক খাতের পাঁচ হাজার চাকরি হারাতে হচ্ছে তাদের। তবে এ চাকরি হারালেও ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়েও লন্ডন প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র থাকবে বলে প্রত্যাশা করেছেন তিনি। তবে চাকরি হারানোর সংখ্যা বললেও ব্রেক্সিটের কারণে আর্থিক সেবা খাত থেকে কী পরিমাণ কর ব্রিটেন হারাবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
তিনি বলেন, ‘ব্রেক্সিটের কারণে আর্থিক খাতের কয়েক হাজার চাকরি হারাতে হবে। তবে সার্বিকভাবে কর্মসংস্থানে বড় পরিবর্তন আসবে না। নিশ্চয়তা দেওয়া যায় লন্ডনই থাকবে ইউরোপের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র।’ এ সময় জন গ্রেন ইইউর সঙ্গে ব্রেক্সিট-পরবর্তী চুক্তির বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেন।
২০১৯ সালের ৩১ মার্চ চূড়ান্তভাবে ব্রেক্সিট চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। ব্রেক্সিটের পর আয়ারল্যান্ড সীমান্ত ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্পর্ক কেমন হবেÑতা নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছাতে পারছে না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) ও ব্রিটেন। ব্রিটেনের বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ড সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার অভিযোগ করছে ইইউ। ব্রিটেনের অংশ হয়ে থাকা নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সীমান্ত কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়েই চলছে মতবিরোধ। অস্ট্রিয়ার সালসবুর্গ শহরে সম্প্রতি ইইউ ও ব্রিটেনের নেতাদের বৈঠকে আন্তরিক পরিবেশ দেখা গেলেও সমঝোতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি হয়নি। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ব্রেক্সিট নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তি এবং জোট থেকে তাদের বিদায়ের প্রস্তুতি নাও হতে পারে বলে বৈঠকে উদ্বেগ দেখা দেয়।
ব্রেক্সিট নিয়ে সমঝোতা আলোচনার জন্য আগামী ১৮ অক্টোবর মিলিত হবেন দু’পক্ষের নেতারা। ওই দিনকেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানোর শেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ব্রেক্সিট চুক্তি হয়ে গেলে আগামী বছর ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
ব্রেক্সিট-পরবর্তী চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ব্রিটেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর। অনেক প্রতিষ্ঠানের রফতানি কমে গেছে। এছাড়া নিয়োগসংক্রান্ত জটিলতা ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে অনেক প্রতিষ্ঠান। গত সোমবার পৃথক দুটি জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে।