ব্রেক্সিট চুক্তির সম্ভাবনা দেখছেন ইইউ প্রেসিডেন্ট

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট-পরবর্তী চুক্তির বিষয়ে সম্ভাবনা দেখছেন ইইউ প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লথ জাঙ্কার। কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হলে কয়েক সপ্তাহ ধরে উদ্বেগ কাজ করছিল। খবর: বিবিসি।
২০১৯ সালের ৩১ মার্চ চূড়ান্তভাবে ব্রেক্সিট চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। ব্রেক্সিটের পর আয়ারল্যান্ড সীমান্ত ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছাতে পারছে না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) ও ব্রিটেন। ব্রিটেনের বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ড সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার অভিযোগ করছে ইইউ। ব্রিটেনের অংশ হয়ে থাকা নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সীমান্ত কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়েই চলছে মতবিরোধ। অস্ট্রিয়ার সালসবুর্গ শহরে সম্প্রতি ইইউ ও ব্রিটেনের নেতাদের বৈঠকে আন্তরিক পরিবেশ দেখা গেলেও সমঝোতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি হয়নি। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ব্রেক্সিট নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তি এবং জোট থেকে তাদের বিদায়ের প্রস্তুতি নাও হতে পারে বলে বৈঠকে উদ্বেগ দেখা দেয়।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক তখন বলেছিলেন, ‘সবাই যে মতামত দিয়েছে, তাতে দেখা যায় ব্রিটেনের প্রস্তাবে ইতিবাচক উপাদান থাকলেও সেখানে বর্ণিত অর্থনৈতিক সহযোগিতার রূপরেখা কাজে আসবে না। কারণ, এতে একক বাজার দুর্বল হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।’ এর পরপরই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, আলোচনার টেবিলে একমাত্র তার প্রস্তাবই ‘চিন্তা করার মতো ও গ্রহণযোগ্য’। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় মে’র পক্ষ থেকে এ ধরনেরই বার্তা আসছে। এ প্রেক্ষাপটে ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেন, চুক্তি না হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে ‘আরও প্রস্তুতি’ নিয়েছে ইইউ। আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকারও বলেছেন, ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’ পরিস্থিতির জন্য তার সরকারও ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর মধ্যে জ্যঁ ক্লথ জাঙ্কার ইতিবাচক বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোয় ব্রেক্সিট-পরবর্তী চুক্তির হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। তবে কবে আমাদের আলোচনার সমাপ্তি হবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। অক্টোবরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত না আসতে পারলে নভেম্বরে আমরা আবার আলোচনায় বসব।