ব্রেক্সিট-পরবর্তী অনিশ্চয়তা নিয়ে এয়ারবাসের সিইও’র সতর্কতা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ব্রিটেনের পর সম্পর্ক কেমন হবে বা বিনিয়োগ ঝুঁকি নিয়ে আরও স্পস্ট বার্তা চান ইউরোপের বৃহত্তম উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিইও টম অ্যান্ডারসন। তিনি বলেছেন, ব্রিটেনের উচিত ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা। খবর রয়টার্স।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘ব্রিটেনের সঙ্গে ইইউ’র দীর্ঘ মেয়াদে সম্পর্ক কেমন হবেÑসেটা এখনও স্পষ্ট নয়। কোম্পানিগুলোর ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের জন্য বিষয়টি আরও স্পষ্ট করা দরকার ব্রিটেন সরকারের।
ইইউ ও ব্রিটেনের সম্পর্ক কেমন হবেÑএ নিয়ে অনিশ্চয়তা ব্যবসায়ীদের চিন্তিত রাখছে। এর আগে অনেক কোম্পানি এ অনিশ্চয়তার কারণে লন্ডন ছেড়ে ফ্রাংকফুর্ট ও ইউরোপের অন্যত্র চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। কয়েকটি কোম্পানি অবশ্য তাদের দফতর পরিবর্তনও করেছে।
তবে ২০১৯ সালের মার্চে ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার বা ব্রেক্সিটের পরও জোটের দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রাখতে চায় ব্রিটেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইইউ’র সঙ্গে সামরিক, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষার মতো বিষয়গুলোতে একসঙ্গে কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে ইইউ কর্তৃপক্ষ ব্রিটেন সরকারের জন্য অবশ্যই সীমাবদ্ধতা বেঁধে দেবে এবং অদূর ভবিষ্যতে যে কোনো চুক্তি ও সমঝোতার জন্য কাঁটা হয়ে থাকবে সীমান্তের বাধা।
গত মাসে মিউনিখে বার্ষিক নিরাপত্তাবিষয়ক ৫৪তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মে বলেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বা ব্রেক্সিটের পরও ইইউ’র ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে ব্রিটেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্রেক্সিটের আগে ইইউর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রতি যেমন দায়বদ্ধ ছিলাম, ব্রেক্সিটের পরও তা-ই থাকব। প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতা, অংশীদারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও আদর্শিক কোনো দ্বন্দ্বকে আমাদের মধ্যে স্থান দেব না, যা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা হুমকির মুখে ফেলবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৩ জুন ব্রিটেন ৫২ ভাগ সমর্থন নিয়ে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেয়। মে ইইউ’র সঙ্গে ব্রেক্সিটের পরও ব্রিটেনে ইউরোপীয় নাগরিকদের অধিকার ও সুরক্ষার বিষয়ে একমত হন। তবে ইউরোপের একক বাজারে বাণ্যিজিক প্রবেশ নিয়ে ব্রিটেন ও ইইউ’র মধ্যে মনোমালিন্য রয়েছে।