শেয়ার বিজ ডেস্ক: ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে (ইইউ) কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ইইউ’র সঙ্গে আলোচনায় তিনি কোনোভাবেই তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় কোনো ছাড় দেবেন না। খবর দ্য টেলিগ্রাফ।
এক নিবন্ধে মে জানান, জাতীয় স্বার্থের আওতায় পড়ে না, এমন কোনো বিষয়ে তিনি ছাড় দেবেন না। মে সতর্ক করে বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে যারা দ্বিতীয় গণভোটের দাবি জানাচ্ছেন, তাদের উচিত হাল ছেড়ে দেওয়া। তিনি বলেন, এমনটা করা হবে গণতন্ত্র ও বিশ্বাসের সঙ্গে ঘোর প্রতারণা করা।
ব্রিটেনের দ্য পিপল’স ভোট নামের একটি মিশ্র দল ও কিছু সংসদ সদস্য ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত চুক্তি নিয়ে একটি গণভোটের আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছরের ২৯ মার্চ ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে ব্রিটেন। এ বিষয়ে গণভোটের দাবি এর আগেও প্রত্যাখ্যান করেছে মে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী মাসগুলো আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। ব্রিটিশ জনগণের গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত পূরণের মিশন শেষ করা নিয়ে তিনি সংকল্পবদ্ধ বলে জানান। তিনি বলেন, জুলাইয়ে করা চেকারস চুক্তি ব্রেক্সিট আলোচনায় বেশ অগ্রগতি ঘটিয়েছে। উল্লেখ্য, এ চুক্তির জেরে দুই শীর্ষ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
মে বলেন, এখনও আলোচনা বাকি। আমরা একটি ভালো চুক্তি চাই এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা আশানুরূপ একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারব।
ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট গণভোটের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে গত জুনে। গণভোটের রায় অনুযায়ী প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী বছর মার্চে চূড়ান্তভাবে ইইউ থেকে বের হয়ে আসবে ব্রিটেন। এর পর ইইউর সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক কেমন হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। এ অনিশ্চয়তায় ব্রিটেনের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট। দেশটিতে বিনিয়োগ করতে কোম্পানিগুলো সতর্কতা অবলম্বন করছে। অনেক কোম্পানি লন্ডন ত্যাগের হুশিয়ারিও দিয়েছে। পরিবারপ্রতি আয় কমেছে। সম্পদ কমায় আবাসন ব্যবসায় দেখা দিয়েছে নেতিবাচক প্রভাব। এমন পরিস্থিতিতে ব্রেক্সিটবিরোধী গ্রুপ চূড়ান্ত গণভোটের দাবি তুলেছে।
২০১৬ সালের ২৩ জুন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য গণভোটের আয়োজন করে ইংল্যান্ড। এ গণভোটে ৫২ শতাংশ মানুষ ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে ভোট দেন। আর ইইউ’র পক্ষে ভোট দেন ৪৮ শতাংশ মানুষ। ব্রেক্সিট বিলের চূড়ান্ত অবস্থা কেমন হবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে।