Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 4:37 pm

ব্রেক্সিট বিল: পার্লামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ভোটে মে’র পরাজয়

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের ১১ এমপির বিদ্রোহের মুখে ব্রেক্সিট নিয়ে পার্লামেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটে ব্রিটিশ সরকারের পরাজয় হয়েছে। পার্লামেন্টের ভোটে সরকারের এ পরাজয়কে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র জন্য একটি ধাক্কা বলেই বিবেচনা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। খবর বিবিসি, গার্ডিয়ান।

স্থানীয় সময় বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এ গুরুত্বপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট বেশি পড়ে। আর এ ভোটের মাধ্যমে ব্রাসেলসের সঙ্গে চূড়ান্ত ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর ভোট গ্রহণের জন্য পার্লামেন্টকে একটি আইনি বৈধতা দিলেন ব্রিটিশ এমপিরা।

এর বিরোধিতা করে সরকার বলছিল, এটি করা হলে কোনো বিঘœ ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ ঝুঁকিতে পড়তে পারে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিদ্রোহীদের ছাড় দেওয়ার একটি উদ্যোগ সত্ত্বেও বিলে একটি সংশোধনী আনার পক্ষেই বেশি ভোট পড়ে। ৩০৫ এমপি সরকারি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও বিপক্ষে ভোট দেন ৩০৯ জন।

যদিও ব্রিটিশ মন্ত্রীরা বলেছেন, ‘ছোট এ বিপর্যয়’ ২০১৯ সালে ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। আর ‘দৃঢ় নিশ্চয়তা’ দেওয়ার পরও ব্রেক্সিট বিল নিয়ে ভোটাভুটিতে এ পরাজয়ে ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সরকার। বেক্সিট নিয়ে এটিই তাদের প্রথম পরাজয়।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইইউর একটি সম্মেলনে ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় নেতাদের বেক্সিট নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে।

এদিকে ব্রিটেনের ক্ষমতাশীল রক্ষণশীল দলের যেসব এমপি সরকারের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন, তাদের মধ্যে আটজন ছিলেন সাবেক মন্ত্রী। ভোটের পর তাদের মধ্যে স্টিফেন হ্যামন্ডকে রক্ষণশীল দলের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

ব্রিটেনের বিরোধী লেবার দলীয় নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ইইউ সম্মেলনের আগে এ পরাজয় প্রধানমন্ত্রী মে’র ‘কর্তৃত্বকে লজ্জাজনকভাবে খর্ব’ করেছে।

২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে ব্রিটেন ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। তবে ইইউ থেকে ব্রিটেন আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ করলে লিসবনচুক্তি অনুযায়ী ইইউর পাওনা মিটিয়ে দিতে হবে। যদিও কত পরিমাণ অর্থ দেবে এ নিয়ে ব্রিটিশ সরকার এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।