নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীদের সর্বমোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৩৬ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪০ টাকা ৭৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ মে বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ মে।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে সাত শতাংশ নগদ এবং সাড়ে সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৮৬ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৫ টাকা ১৪ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসম্বের সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাড়ে সাত শতাংশ নগদ ও সাড়ে সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৯৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা আট পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসম্বের সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৩৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৬৩ পয়সা।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ৫ হাজার কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬০৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে চার হাজার ১২১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। তাদের মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ২২৭। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর ১ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪০ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৪০ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪ লাখ ৪৬ হাজার ১৫৪টি শেয়ার মোট ৩২৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৩ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।