মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: করোনাকালে দীর্ঘদিন পুঁজিবাজার বন্ধ থাকার পর আবার সচলই হতেই আধিপত্য বিস্তার করে আসছে ব্লক মার্কেটের লেনদেন। প্রতিদিনই মোট লেনদেনের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশই ছিল এ মার্কেটের লেনদেন। কয়েকদিন লেনদেনে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত এ মার্কেটের লেনদেন দেখা যায়। দীর্ঘ বিরোতির পর গতকাল দু’দিন এ মার্কেটের দাপট কমতে দেখা গেছে।
গতকালের বাজারচিত্রে দেখা যায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ৫১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র পাঁচ কোটি টাকা ছিল ব্লক মার্কেটের লেনদেন। গতকাল এ মার্কেটে মোট ২১ কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হতে দেখা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে যমুনা অয়েলের। ব্লক মার্কেটে গতকাল এ কোম্পানির প্রায় দুই কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায়। বাকি ২০ কোম্পানির লেনদেন ছিল তিন কোটি টাকার কিছু বেশি।
এদিকে গতকাল আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন কিছুটা বেশি হলেও তা সূচকে ভূমিকা রাখতে পারেনি। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক অপরিবর্তিত ছিল। লেনদেন শেষে সূচকের অবস্থান ছিল আগের কার্যদিবসের মতো। অর্থাৎ সূচক স্থির ছিল তিন হাজার ৯৬২ পয়েন্টে।
এদিকে দিন যতই যাচ্ছে ব্রোকারেজ হাউস ততই ফাঁকা হচ্ছে। সম্প্রতি দুটি ব্রোকারেজ হাউসে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এ ভীতি বেড়েছে। করোনার ভয়ে তারা হাউসে আসতে যাচ্ছেন না। হাউসে যারা কর্মরত রয়েছেন তাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি নিয়ে কাজ করছেন। তাদের মধ্যেও ঢুকে গেছে এ প্রাণঘাতী ভাইরাসের ভীতি। যে কারণে কাজ শেষ করেই হাউস ত্যাগ করছেন তারা। মালিকেরাও ছুটি দিয়ে রাখছেন অনেক কর্মীকে। মূলত এ ভীতির কারণেই হাউসে উপস্থিত হচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে লেনদেনে।
এদিকে গতকাল আগের দিনের চেয়ে আরও ভালো ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা। গতকাল লেনদেন হওয়া ২৫৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বাড়তে দেখা যায় ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। এর মধ্যে ১২টিই ছিল এ খাতের কোম্পানি। অন্য খাতের শেয়ার বেশি দরে না কিনলের এ খাতের শেয়ার বেশি দরে কিনতে অনিহা ছিল না ক্রেতাদের। যে কারণে অন্যান্য দিনের মতো গতকালও লেনদেনে এগিয়ে ছিল এ খাত। মোট লেনদেনে এ খাতটি অবদান ছিল প্রায় ৪৫ শতাংশ। করোনাকালে এ খাতের কোম্পানির উৎপাদন থাকায় বিনিয়োগকারীরা এখান থেকে সন্তোষ লভ্যাংশ আশা করছেন। সে কারণে সাম্প্রতিক সময়ে এ খাতের শেয়ারের চাহিদা বেড়েছে।