শেয়ার বিজ ডেস্ক : ব্ল্যাক ফ্রাইডেকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ অনলাইন শপিং ইভেন্ট হিসেবে গণ্য করা হয়। ছুটির মৌসুম শুরুর আগ মুহূর্তে দিবসটিকে ঘিরে দেশটিতে অনলাইন কেনাকাটার পরিমাণ বেড়ে যায়। চলতি বছর এ দিনটিতে অনলাইন বিক্রির পরিমাণ ৭৯০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এছাড়া আগের দিন থ্যাংকস গিভিং ডেতে অনলাইন কেনাকাটার পরিমাণ ছিল ১৫২ কোটি ডলার। এটি গত বছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। খবর রয়টার্স।
সফটওয়ার কোম্পানি অ্যাডোবি ডিজিটাল ইনডেক্সের তথ্যমতে, গত বছর ‘ব্লাক ফ্রাইডে’ তে অনলাইনে বেচাকেনা হয়েছে ৩০৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ এ বছর আগের বারের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি বিক্রি হয়েছে।
শীর্ষ ১০০টি ওয়েবভিত্তিক খুচরা পণ্য বিক্রয়কারী মার্কিন প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে এ জরিপ করেছে অ্যাডোবি ডিজিটাল। অ্যাডোবির তথ্যমতে, ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে ৬১ দশমিক ১ শতাংশ ক্রেতা বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ভিজিট করেন স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের মতো মোবাইল ফোন ডিভাইসের মাধ্যমে। ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে অনলাইন কেনাকাটা গত বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ একটি দিবস। এদিন মূলত ব্যবসায়ীরা বছরের নতুন আইটেম ও নতুন পণ্য বিক্রির টোপ দিয়ে ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের রীতি অনুযায়ী এ শুক্রবার থেকেই শুরু হয় ক্রিসমাস হলিডে সিজন। প্রতি বছর নভেম্বর মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবার আমেরিকায় থ্যাংকস গিভিং ডের পরদিনই অর্থাৎ নভেম্বর মাসের চতুর্থ শুক্রবারটি হচ্ছে ব্ল্যাক ফ্রাইডে ।
এ দিনটিতে টিভি, ল্যাপটপ, খেলনা ও খেলনা সামগ্রীর ওপর বড় রকমের ছাড় দেওয়া হয়েছে। এসব পণ্যের ক্রেতাও সবচেয়ে বেশি ছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্যের ওপর ব্যাপক পরিমাণে ছাড়, বৈচিত্র্যময় চমক ও বিনা মূল্যে উপহার দিয়ে ক্রেতাদের আকর্ষণ করে।
ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন রেকর্ড পরিমাণ বিক্রির কথা জানালেও এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে অ্যামাজনের দেওয়া তথ্য মতে, গত বছরের তুলনায় এ বছর মোবাইল ফোন থেকে ক্রয়াদেশ পাওয়ার হার ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, মোবাইল অ্যাপের আধিক্য বাড়ায় মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করতে আগ্রহী হচ্ছে। কার্ডের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ ও শিপিং সংক্রান্ত তথ্য মোবাইলে পাওয়ার সুবিধা থাকায় অনলাইনে বিক্রির পরিমাণ অনেক বেড়েছে।