ডিএসই’র সাপ্তাহিক চিত্র

ব্ল–চিপ ও নড়বড়ে এনবিএফআইতে মুনাফা দেখছেন বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক  : দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) অধিকাংশের আর্থিক স্বাস্থ্য নড়বড়ে। এ নিয়ে সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও গত সপ্তাহে এ খাতের বিনিয়োগ থেকেও মুনাফা দেখতে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এ সময়ে বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি মুনাফা পান ‘ব্ল–’ চিপস খ্যাত ডিএস৩০ কোম্পানির শেয়ারে।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এমন চিত্র। গত সপ্তাহেও ডিএসইর সব সূচক ইতিবাচক ধারায় লেনদেন শেষ করে। এই সময়ে বৃদ্ধি পায় লেনদেনের আকার ও বাজার মূলধন।

যদিও কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরে কিছুটা মিশ্র প্রবণতা দেখা যায়। বাজারসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অতীত অভিজ্ঞতায় বিনিয়োগকারীরা এখন সবচেয়ে বেশি সতর্ক। বিতর্কিত কোম্পানির পরিবর্তে তারা মৌলভিত্তির কোম্পানিতে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। এখানেই মুনাফা নিশ্চিত করতে চাচ্ছেন। এ জন্য উৎপাদনশীল ও ‘ব্ল–চিপ’-খ্যাত ডিএসইর তালিকায় থাকা ডিএস৩০ সূচকের কোম্পানিতে লগ্নি বাড়িয়ে চলেছেন বিনিয়োগকারীরা। এর ফলও পাচ্ছেন তারা।

তথ্য অনুযায়ী, গত মিশ্র প্রবণতার মধ্যে লেনদেন শেষ করে ডিএসইর তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এসবের মধ্যেও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর বৃদ্ধি পায়। এর ফলে গত সপ্তাহে ‘ব্ল– চিপস’ সূচক পূর্ববর্তী সপ্তাহের চেয়ে ২৫ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়।

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই সময়ে ৩৬২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেনে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে শেয়ারদর বৃদ্ধি পায় ১৭৮টির, কমে ১৫৪টির, অপরিবর্তিত ছিল ২৮টির ও লেনদেন হয়নি দুটির।

আলোচিত সময়ে এনবিএফআইগুলোয় বিনিয়োগ করে চার দশমিক ২৫ শতাংশ মুনাফা পান বিনিয়োগকারীরা, যা গত সপ্তাহে খাতভিত্তিক মুনাফার মধ্যে সর্বোচ্চ। এর পাশাপাশি মুনাফা দেখতে পান ব্যাংক খাতে এক দশমিক ৩৪ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে এক দশমিক চার শতাংশ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে এক দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ফার্মা খাতে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ।

অপরদিকে এ সময়ে সর্বোচ্চ লোকসান দেখা যায় জীবন বিমা খাতে। বিনিয়োগকারীরা এ খাতে চার দশমিক ৮৫ শতাংশ লোকসান গুনেন গত সপ্তাহে। পাশাপাশি লোকসান দেখা যায় সাধারণ বিমা খাতে এক দশমিক ৬৪ শতাংশ ও মিউচুয়াল ফান্ডে এক দশমিক ৩৪ শতাংশ।

সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিএসইর বাজার মূলধন বৃদ্ধি পায় দুই হাজার ৯৩১ কোটি টাকা। খাতভিত্তিক লেনদেন তথ্যে দেখা যায়, ডিএসইতে এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে ওষুধ খাতের কোম্পনি। মোট লেনদেনের ২৪ শতাংশই এ খাতের। এছাড়া ব্যাংক খাত ৯ শতাংশ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ছয় শতাংশ, সাধারণ বিমা আট শতাংশ, জীবন বিমা এক শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড দুই শতাংশ, এনবিএফআই সাত শতাংশ ও সেবা খাত এক শতাংশ অবদান রাখে।

আলোচিত সময় শেষে একক কোম্পানি হিসেবে শেয়ারদর বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি। গত সপ্তাহে এর শেয়ারদর বৃদ্ধি পায় ৩৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এরপরই রয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জিকিউ বলপেন, স্যালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, বিডিকম অনলাইন, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, এবি ব্যাংক, আজিজ পাইপস, বে লিজিং ও হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার। অপরদিকে শেয়ারদর হারানোর শীর্ষ তালিকায় ওঠে বাংলাদেশ ইলেক্ট্রোড।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০