শেয়ার বিজ ডেস্ক: গত পাঁচ বছরে বিশ্বের ২৭টি বড় শহরে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমেছে। এ তালিকায় আছে বার্লিন, লন্ডন, লস এঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক ও প্যারিসের নাম। পাঁচ বছর আগের তুলনায় নিঃসরণ অন্তত ১০ শতাংশ কমেছে। তবে বড় শহরগুলোর সাফল্যে এখনই খুশি হওয়ার মতো কিছু দেখছেন না বিশ্লেষকরা। তাদের মতে দরিদ্র দেশগুলোতে আগামী বছরগুলোতে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ বেড়েই চলবে। গত বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকোতে এক জলবায়ু সম্মেলনে দেশগুলো এ পরিসংখ্যান উপস্থাপন করে। খবর এএফপি ও রয়টার্স।
জীবাশ্ম-জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো এবং গণপরিবহনের আওতা বাড়ানোতেই এ মাইলফলক অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্বের বড় শহরগুলোর জোট সি-৪০-এর নেতারা। প্যারিসের মেয়র আনে হিডালগো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে শেষ পর্যন্ত ভালো কোনো খবর দিতে পারা’ খুব আনন্দের ব্যাপার।
গ্যাস নিঃসরণ কমলেও এর ফলে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে। ফলে হিডালগো মনে করেন, ‘আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি পরিবেশের ক্ষতি না করেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উন্নয়ন সম্ভব।’
বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে সান ফ্রান্সিসকোর এ সম্মেলনে যোগ দেন কয়েক হাজার রাজনীতিবিদ, জলবায়ু অ্যাক্টিভিস্ট এবং ব্যবসায়ী নেতারা।
২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণে সচেষ্ট তারা। সবচেয়ে বেশি গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের তালিকায় চীনের পরই আছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম।
প্যারিস চুক্তি অনুসারে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্যে কাজ করতে সম্মত হয় দেশগুলো। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা হুশিয়ারি দিয়েছেন, শিগগিরই হয়তো বৈশ্বিক উষ্ণতা এ লক্ষ্য অতিক্রম করতে পারে।
তবে বড় শহরগুলোর সাফল্যে এখনই খুশি হওয়ার মতো কিছু দেখছেন না বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, যে ২৭টি শহর নিঃসরণ কমানোর দাবি করছে, সেসব শহর মিলিয়ে বাস করেন মাত্র সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ। উন্নয়নশীল কোনো দেশের কোনো শহরই এ তালিকায় নেই।
সি-৪০ নেতারাও এ দুর্বলতা বিষয়ে অবগত আছেন। হিডালগো বলেন, ‘উন্নয়নশীল শহরগুলোসহ যেসব জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে পরিবেশ ও জ্বালানি নিরাপত্তা প্রয়োজন, সেদিকে আমাদের সবার আগে নজর দিতে হবে।’