বয়স কমায় যেসব খাবার…

বলিরেখা থেকে দূরে রাখে। চুলে পাক ধরতে দেয় না। ত্বককে করে মসৃণ। সর্বোপরি যৌবনদীপ্ত করে তোলে মানুষকে। ফলে কম বয়সী দেখায়। না, কোনো রাসায়নিক পদার্থ কিংবা ওষুধের ক্যারিশমা নয়। অনেক খাবারে লুকিয়ে রয়েছে বয়স কমানোর এ টনিক। এমন কয়েকটি খাবার
টক দই: বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩৫ বছর বয়সের পর মানব দেহের হাড় দুর্বল হতে থাকে। ফলে বাত কিংবা অস্টিওপরোসিসের মতো সমস্যা হতে পারে। এসব রোগের কারণে চেহারায় বয়স্ক ভাব চলে আসে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন ক্যালসিয়াম। টক দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম চেহারায় ‘বুড়োটে’ ছাপ পড়তে দেয় না।
আখরোট: আখরোটে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এ উপাদানটি ত্বক মসৃণ করে। ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে। এতে তুলনামূলক কম কোলেস্টেরল রয়েছে। ফলে চেহারায় তারুণ্য ভাব বজায় থাকে। শুধু আখরোটই নয়, যে কোনো বাদাম ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
টমেটো: টমেটোয় প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন রয়েছে। এ অ্যান্টি-অক্সিডেন্টটি নানা ধরনের চর্মরোগ প্রতিরোধ করে। একই সঙ্গে ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এ কারণে ত্বক থাকে উজ্জ্বল এবং কম বয়সী দেখায়।
অলিভ অয়েল: ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে অলিভ অয়েল। পাশাপাশি যে কোনো দাগ দূর করে। প্রতিদিনের রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। দিনে দুবার ত্বকে মালিশ করতে পারেন। উজ্জ্বল থাকবে ত্বক।
পালংশাক: পালংশাকে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী পটাশিয়াম, আঁশ,
ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। এ শাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ‘ফ্রি র‌্যাডিকেল’ ধ্বংস করে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
হলুদ: হলুদেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। সঙ্গে রয়েছে
অ্যান্টি-ইনফ্লামমেটরি। এসব উপাদান হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে দীপ্তিময়।
ডালিম: ডালিমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের নমনীয়তা বজায় রেখে। ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। ফলে সতেজ থাকে ত্বক। অর্থাৎ বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
ব্রোকোলি: ত্বকের কোষ সজীব রাখতে সহায়তা করে ব্রোকোলি। মূলত শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দেয় এ সবজিটি। ফলে সজীব থাকে ত্বক।
খাবারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাস চেহারায় বয়সের ছাপ সহজে পড়তে দেয় না।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০