নিজস্ব প্রতিবেদক: ভবিষ্যতে দেশের বন্ড মার্কেট অনেক বেশি গতিশীল হবে বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. আবদুল হালিম। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃক ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত ‘ইনভেস্টমেন্ট ইন ডেট সিকিউরিটিজ: প্রসেসেস অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কমিশনার মো. আবদুল হালিম বলেন, বন্ড মার্কেটের জন্য ২০১২ সালে যে পলিসি ছিল, তা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ছিল। পরে সবার সঙ্গে আলোচনা করে ২০২১ সালে নতুন ডেট ইস্যু রুলস করা হয়। কমিশন পলিসিটি এমনভাবে করেছে, যাতে দেশের যে কোনো খাতের উন্নয়নের জন্য বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যায়। শুধু বন্ড ইস্যু করলেই হবে না, এর বিপরীতে ডিমান্ড ক্রিয়েট করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ওয়েবিনার তখনই সফল হবে যখন বিনিয়োগকারীরা বন্ড মার্কেট সম্পর্কে আরও বেশি আগ্রহী হবেন। এখান থেকে কোনো ফিডব্যাক থাকলে কমিশন তা মূল্যায়ন করবে। ভবিষ্যতে দেশের বন্ড মার্কেট অনেক বেশি গতিশীল হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম সাইফুর রহমান মজুমদার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসইর লিস্টিং ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার মো. রবিউল ইসলাম। মূল প্রবন্ধে তিনি ডেট সিকিউরিটিজের রুলস ও রেগুলেশনস, ডেট সিকিউরিটিজের প্রোডাক্টসমূহ, অফার টাইপ, রূপান্তরের প্রক্রিয়া ও বিতরণ, পার্পিচুয়াল বন্ডের ফিচার, বিনিয়োগ পদ্ধতি, ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজির সুবিধা ও বিএসইসির ডিরেক্টিভ সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি উন্নত, আধুনিক ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়তে হলে পণ্যের উপস্থিতি, পণ্যের আধিক্য ও পণ্যের বৈচিত্র্য থাকা একান্ত আবশ্যক। বাজারে পণ্যের আধিক্য ও বৈচিত্র্য থাকলে নতুন নতুন বিনিয়োগকারীর আগমন ঘটে। ফলে বাজার বিনিয়োগসমৃদ্ধ হয়ে সব পক্ষ লাভবান হয়। আমাদের বাজার দীর্ঘদিন থেকে প্রায় ইক্যুইটিনির্ভর। শুধু একমুখী পণ্যের ওপর ভর করে পুঁজিবাজারকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে নেয়া অসম্ভব।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের পুঁজিবাজারও এগিয়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ তৈরি হওয়ায় বাজারে দিন দিন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর আগমন ঘটছে। এরূপ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা বাজারে নতুন নতুন পণ্যের খোঁজ করছেন। তাই বন্ড মার্কেটকে সক্রিয় করতে আমাদের ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কাজ করতে হবে। বন্ডের প্রতি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে।
পরে আলোচনায় অংশ নেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের এমডি ও সিইও তানজিম আলমগীর, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সিইও খন্দকার রায়হান আলী, এফসিএ এবং সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেসের সিইও শিবলী আরমান।