নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বিভিন্ন জেলায় ভরাট হয়ে যাওয়া সরকারি জলমহাল পুনঃখনন ও সংস্কারের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান-সংক্রান্ত কমিটির ৬৮তম সভায় ভূমিমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।
ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। ইজারার জন্য প্রস্তাবকৃত জলমহাল-সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসিরা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভরাট হয়ে যাওয়া সরকারি জলমহাল পুনঃখনন ও সংস্কার করা গেলে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। মৎস্য আহরণ বাড়াতে পারলে খাদ্যচাহিদা মেটানোর সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।
সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৩৭টি ২০ একরের ঊর্ধ্বে সরকারি জলমহালের ইজারা প্রস্তাব ছয় বছরের জন্য অনুমোদিত হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাইফুজ্জামান চৌধুরী অনলাইনে জলমহালের আবেদন প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন।
প্রচলিত পদ্ধতিতে জলমহাল ইজারার আবেদনে অনেক সময় জলমহাল ইজারা প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগী ও দালালদের নানা অপকৌশলের কারণে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতেন।
অনলাইনে জলমহাল আবেদন শুরুর পর জলমহাল-সংশ্লিষ্ট অংশীজন থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ আসেনি বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, এখন ষধহফ.মড়া.নফ ভূমিসেবা কাঠামো থেকে অথবা সরাসরি লস.ষধসং.মড়া.নফ ওয়েব পোর্টালে গিয়ে জলমহাল ইজারার জন্য আবেদন দাখিল করা যাচ্ছে। এছাড়া জলমহাল ইজারার আবেদন অনলাইনে দাখিল এবং ইজারা প্রক্রিয়ার বিস্তারিত উপর্যুক্ত ওয়েবপোর্টাল থেকেই জানা যাচ্ছে।
সরকারি হিসাবে ছোট-বড় মিলিয়ে দেশের জলমহালের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। এসব ইজারা দিয়ে বছরে শতকোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়।
বেশ কয়েকটি জলমহাল ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে ইজারাবিহীন রাখা হয়েছে। যেমন দিনাজপুরের রামসাগর, সিরাজগঞ্জের হুড়াসাগর প্রভৃতি। মাছ সংগ্রহের অভয়াশ্রম ঘোষিত জলমহালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর প্রভৃতি।